বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন এবং প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান গুগলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী আবু সায়েম সেফাতুল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এ বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি স্নাতক শেষবর্ষের পরীক্ষায় অংশ নেন। তবে ফলাফল এখনো প্রকাশ হয়নি। এরই মধ্যে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) গুগলের নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন সেফাতুল্লাহ। আগামী মে অথবা জুনে তিনি কাজে যোগ দেবেন।
সেফাতুল্লাহর বাড়ি ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলার সূর্যপাশা গ্রামে। তবে লেখাপড়ার কারণে বরিশাল নগরীর রূপতলী এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থকেন। তার বাবা মো. ফারুক হোসেন তালুকদার সাবেক সেনা কর্মকর্তা। মা লাইজু আক্তার গৃহিণী। এ দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সেফাতুল্লাহ মেজ। বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও পরে এইচএসসি পাস করেন।
গুগলে চাকরি পাওয়া প্রসঙ্গে আবু সায়েম সেফাতুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসএসসি পাস করার পর স্বপ্ন দেখতাম গুগল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজন, ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবো। সেজন্য এইচএসসি পাস করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম। দীর্ঘদিনের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এ অনুভূতি আসলে বলে বোঝানো যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘তবে এ পথটা মসৃণ ছিল না। গুগলের কর্মী বাছাই প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ ও জটিল। গত বছরের নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত আট দফায় অনলাইনে পরীক্ষা নেয় গুগল। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের শীর্ষস্থানীয় একটি আইটি প্রতিষ্ঠান থেকেও কাজের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তবে সেখানে যোগ দিতে মন সায় দেয়নি। অবশেষে শুক্রবার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান গুগলের রিক্রুটমেন্ট বিভাগ থেকে নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। তারা আমাকে গুগলের পোল্যান্ডের অফিসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দিতে বলেছে।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা বেশি দিনের নয়। বয়সে নবীন। সিএসই থেকে মাত্র দু-একটি ব্যাচ বের হয়েছে। এরই মধ্যেই শিক্ষার্থীরা বিশ্বের নামিদামি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাচ্ছেন। এতে এটাই প্রমাণ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বয়সে নবীন হলেও সেই তুলনায় শিক্ষায় অনেক এগিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :