মিঠুন পাল , (পটুয়াখালী)।পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরবাংলার তুলারাম গ্রামের মোঃ শাথিল এর যৌতুকের দাবী পুড়ন করতে না পারায় নির্যাতনের স্বাীকার। আইনের সহযোগীতা পেতে ব্রাক সংস্থার প্রতারণার জালে এক সন্তানের জননি রিনা বেগম। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ ইং সালের ১৫’ ফেব্রুয়ারি মাসে পানপট্রি ইউনিয়নের তুলারাম গ্রামের মেয়ে রিনা বেগমের সাথে চরবাংলার গ্রামের সেলিম তালুকদারের ছেলে শাথিল এর সাথে দুই লাখ টাকার মোহরানা ধার্য্যে ইসলামিক শরিয়ত মতো এবং ৫০ হাজার টাকার উপঢৌকন সহ কাবিননামা রেজিস্ট্রি করে আমাকে শশুর বাড়িতে তুলে দেয়। প্রথম’তো স্বামী -স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন সুখে চলার পরে, আমাদের কোল একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়, যার নাম ইব্রাহীম বয়স দুই বছর। সন্তান হওয়ার কিছুদিন পরেই শুরু যৌতুকের দাবীতে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন। এক প্রর্যায়ে স্বামী, শশুর ও শাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে দেশে প্রচলিত ব্রাক মানবাধিকার আইন সহায়তা কর্মসূচী গলাচিপা শাখায় স্বামী শাথিল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে, ব্রাক কর্মকর্তা আমাকে তার কার্যালয়ে ডেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে তালাক দেয়ার চাপ প্রয়োগ করলে, আমি তা অস্বীকৃত জানিয়ে অসহায় ও হতদরিদ্র পিত্রালয়ে ফিরে আসি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার পিত্রালয় এসে আমার মা’য়ের কাছে ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবী পুরুন না করলে পুনোরায় শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করার হুমকি দেয়। এর প্রতিবাদ করায় আমাকে আবারো শারীরিক নির্যাতন করলে আমাকে গত ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপালে ভর্তি করায়। এক’ই বিষয়ে ঐ দিনেই গলাচিপা থানায় এজাহার করতে গেলে, থানা কর্তৃপক্ষ তা গ্রহন না করে বিজ্ঞ আাদালতের পরামর্শ দিলে ১৪ অক্টোবর ২০২০ সালে স্বামী শশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মোকাম বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পটুয়াখালীতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২০০০ সংশোধিত ২০০৩ এর ১১(গ) /৩০ ধারায় মামলা দায়ের করলে, বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পানপট্রি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু কালামকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। এদিকে মামলা হামলায়, ভূক্তভোগী পরিবারের রিনা বেগমের শিশু সন্তান ইব্রাহীম তার পিতা শাথিলের অবহেলা আর অযত্নে অনাহারে শিশু সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে, সন্তানের মূখে দু মুঠো আহারের জন্য জীবিকার টানে প্রবাসের জীবন বেছেঁ নিয়েছেন বলে ভিডিও কলে ভূক্তভোগী অসহায় রিনা বেগম জানান। তিনি আরো বলেন, মামলা করেও কোন প্রতিকার পাইনাই, আমার অনাথ শিশুর খোজঁখবর পর্যন্ত না নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। নির্যাতন কারী স্বামী শাথিল এর কোন যোগাযোগব্যবস্থা না থাকায় তার কোন মতামত পাওয়া না গেলেও, তার দুঃসম্পর্কের এক নিকট আত্মীয় এর সাথে কথা হলে, তিনি জানানর বিষয়ে পুরোপুরিভাবে না জানলেও, উভয় পক্ষের শান্তি চুক্তি নামার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাধান আসা জরুরী হলেও, বাদী দেশে না থাকায় সমাধানের কোন পথ দেখা যাচ্ছেনা। বিজ্ঞ আদালত’ই এর এদিকে গলাচিপা শাখার ব্রাক মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচীর ফিল্ড অফিসার লিজা আক্তার এর এর মুঠোফোনে একাধিবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। এবিষয়ে পানপট্রি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু কালাম বলেন, ঘটনার বিষয়ে বিজ্ঞ আাদালতের নির্দেশনায় তদন্ত করে প্রতিবেদেন পাঠানো হয়েছে। আশা ভূক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচার পাবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আপনার মতামত লিখুন :