ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডুমুরিয়ায় আধুনিক কৃষিতে কেঁচো কম্পোস্ট সার বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে।

মোঃ জুয়েল খাঁন খুলনা থেকে।
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
সময়কাল এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডুমুরিয়ায় আধুনিক কৃষিতে কেঁচো কম্পোস্ট সার বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে।

অর্থনীতিতে অবদান রাখছে কেঁচো সার,
ডুমুরিয়ায় আধুনিক কৃষিতে কেঁচো কম্পোস্ট সার বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। উৎপাদনে এ যেন এক নতুন সম্ভাবনা। কেঁচো সার চাষ করে অনেক ব্যক্তির ভাগ্যেরও পরিবর্তন ঘটেছে। এতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক সার ব্যবহারে সুফল পাচ্ছে কৃষক। প্রাথমিকভাবে এসব কৃষকের মনে বিরূপ ধারণা থাকলেও তা কেটে গেছে। এই সার উৎপাদন করে নিজেরা সচ্ছল হওয়ার পাশাপাশি অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত অর্থবছরে ডুমুরিয়ায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্হাপন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর আওতায় কমিউনিটি বেইজড ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনকারী কৃষক দলের ৩০ জন খামারিকে নিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট সারের প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। প্রদর্শনী দেখে উৎসাহী হয়ে আরো অনেক কৃষক ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করছে। এছাড়া উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী রয়েছেন, যারা উপজেলার চাহিদা পূরণ করে বাইরেও এই সার বিক্রি করছেন। জানা গেছে, উপজেলার বরাতিয়া গ্রামের মোঃ মেহেদী হাসান বিশ্বাস উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্হাপন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর আওতায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রাকৃতিক জৈব সার উৎপাদনের সূচনা করেন। বর্তমানে এসব খামার থেকে প্রতি মাসে প্রায় কয়েকশ টন কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন হচ্ছে। স্বল্প খরচে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত কেঁচো সার অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। কৃষিজমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে কেঁচো সার। ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করেছিলাম । আমার খামারে প্রতি মাসে প্রায় ৮ টন সার উৎপাদন হয়। এই সার ব্যবহার করে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন, পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছে আমার মতো খামারিরা। উপজেলার আরেকজন ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনকারী মোঃ আসাদুল মোড়ল জানান, উপজেলা কৃষি অফিসে একটি ট্রেনিং এর মাধমে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনের পরামর্শ পেয়ে সর্বপ্রথম আমি কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করি। জৈব সার উৎপাদন ও বিক্রি করে আমাদের বর্তমানে সচ্ছলতা ফিরেছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে আমার খামার থেকে প্রতি দেড় মাসে প্রায় ১২ টন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায় এ উৎপাদিত সার। দিন যত যাচ্ছে ভার্মি কম্পোস্টের চাহিদাও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে আমার মতো খামারিরা ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে সাফল্য অর্জন করতে পারবে। এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, ভার্মি কম্পোস্ট জৈব সারের এক নতুন সম্ভাবনার নাম। গোবর থেকে কেঁচোর মাধ্যমে উৎপাদিত এই সার কৃষিজমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্হাপন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা এই প্রযুক্তি কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছি ফলে কৃষকরা ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার ও উৎপাদনে উৎসাহী হচ্ছেন। কৃষি অফিস থেকে আমরা তাদের সার্বিক সহায়তা দিয়ে আসছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ডুমুরিয়ায় আধুনিক কৃষিতে কেঁচো কম্পোস্ট সার বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে।

আপডেট সময় : ০৯:০৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ডুমুরিয়ায় আধুনিক কৃষিতে কেঁচো কম্পোস্ট সার বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে।

অর্থনীতিতে অবদান রাখছে কেঁচো সার,
ডুমুরিয়ায় আধুনিক কৃষিতে কেঁচো কম্পোস্ট সার বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। উৎপাদনে এ যেন এক নতুন সম্ভাবনা। কেঁচো সার চাষ করে অনেক ব্যক্তির ভাগ্যেরও পরিবর্তন ঘটেছে। এতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক সার ব্যবহারে সুফল পাচ্ছে কৃষক। প্রাথমিকভাবে এসব কৃষকের মনে বিরূপ ধারণা থাকলেও তা কেটে গেছে। এই সার উৎপাদন করে নিজেরা সচ্ছল হওয়ার পাশাপাশি অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত অর্থবছরে ডুমুরিয়ায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্হাপন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর আওতায় কমিউনিটি বেইজড ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনকারী কৃষক দলের ৩০ জন খামারিকে নিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট সারের প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। প্রদর্শনী দেখে উৎসাহী হয়ে আরো অনেক কৃষক ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করছে। এছাড়া উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী রয়েছেন, যারা উপজেলার চাহিদা পূরণ করে বাইরেও এই সার বিক্রি করছেন। জানা গেছে, উপজেলার বরাতিয়া গ্রামের মোঃ মেহেদী হাসান বিশ্বাস উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্হাপন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর আওতায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রাকৃতিক জৈব সার উৎপাদনের সূচনা করেন। বর্তমানে এসব খামার থেকে প্রতি মাসে প্রায় কয়েকশ টন কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন হচ্ছে। স্বল্প খরচে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত কেঁচো সার অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। কৃষিজমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে কেঁচো সার। ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করেছিলাম । আমার খামারে প্রতি মাসে প্রায় ৮ টন সার উৎপাদন হয়। এই সার ব্যবহার করে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন, পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছে আমার মতো খামারিরা। উপজেলার আরেকজন ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনকারী মোঃ আসাদুল মোড়ল জানান, উপজেলা কৃষি অফিসে একটি ট্রেনিং এর মাধমে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনের পরামর্শ পেয়ে সর্বপ্রথম আমি কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করি। জৈব সার উৎপাদন ও বিক্রি করে আমাদের বর্তমানে সচ্ছলতা ফিরেছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে আমার খামার থেকে প্রতি দেড় মাসে প্রায় ১২ টন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায় এ উৎপাদিত সার। দিন যত যাচ্ছে ভার্মি কম্পোস্টের চাহিদাও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে আমার মতো খামারিরা ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে সাফল্য অর্জন করতে পারবে। এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, ভার্মি কম্পোস্ট জৈব সারের এক নতুন সম্ভাবনার নাম। গোবর থেকে কেঁচোর মাধ্যমে উৎপাদিত এই সার কৃষিজমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্হাপন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা এই প্রযুক্তি কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছি ফলে কৃষকরা ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার ও উৎপাদনে উৎসাহী হচ্ছেন। কৃষি অফিস থেকে আমরা তাদের সার্বিক সহায়তা দিয়ে আসছি।