কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বসতভিটের জমি বিক্রেতা কে সন্ত্রাসী আকারে কুপিয়েছে ক্রেতারা । হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে অরবিন্দু দে, বিজয় দে কল্পনা বালা দে শোভা রানী দে নামের জমি বিক্রেতারা। আহতকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। এমনই ঘটনা ঘটে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মাইজপাড়া(বারই পাড়া) নামক এলাকায়।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ মাইজ পাড়ার বাসিন্দা মৃত পেঠান চন্দ্র দের পুত্র অরবিন্দু দে থেকে ৬৪২ নং বিএস খতিয়ানের ৬০২৯ ও ৬০৩০ দাগ অন্দরে ৮ শতক বা ২৪ কড়া বাড়িভিটের জমি ক্রয় করেন একই এলাকার মৃত শম্ভু দের পুত্র অজিত কান্তি দে। এর বাইরে আরো ১৫ কড়া জায়গা বিক্রির বায়নানামা সম্পাদক করেছে। কিন্তুু সব জায়গা অজিত কান্তি দে এর দখলে নিয়েছে। এর বাইরে অজিত কান্তি অরবিন্দু দে থেকে অতিরিক্ত জায়গা দখল নিতে চাওয়ার করনে এই মারামারির ঘটনা ঘটে,
২৭ আগস্ট তারিখ সকাল সাড়ে ৭টায় অরবিন্দু দে’র বিক্রি করা বসতভিটেটি জবরদখল চেষ্টায় অজিত দে দলবল নিয়ে দা, হাতুড়ি, লোহার রড় ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এসময় অজিত দের হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে কোপাতে থাকলে অরবিন্দু কান্তি দের মাথায় গুরুতর আহত হয়। এবং অজিত বাহীনি থেকে শেষ রক্ষা পেল না অরবিন্দু দের মা (৮০) বছর বৃন্ধা মহিলা ও,,,,
রক্তাক্ত অবস্থায় সে জ্ঞান শুণ্য হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হসপিটাল এ ভর্তি করে। হামলাকালীন সময়ে দুইটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন গলাই থাকা স্বর্ণের চেন কানের দুল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে জানান ভুক্তভোগী অরবিন্দু কান্তি দে। এরপরও ক্ষান্ত না হয়ে অভিযুক্ত অজিত তার দলবল নিয়ে মারবে কাটবে, ভিটেমাটি জবর দখলে নিয়ে উচ্ছেদ করবে বলে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তার আরো জায়গা লাগবে তার যে অতিরিক্ত জায়গা দরকার তা সব দিতে হবে। না হয় জোর করে নিবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
ঘটনার পর নিজেকে আহত সাজাতে অজিত দে গ্রাম্য চিকিৎসক দ্বারা মাথা ন্যাড়া করে ব্লেড দিয়ে আহতের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন ও হাসপাতাল থেকে পরিচিত ব্যক্তি গোপনে বিষয়টি অরবিন্দু কে অবগত করে। অরবিন্দু দে মামলা করবে বলে প্রক্রিয়াদিন অবস্থায় রয়েছে,,,
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অজিত দে বলেন, আমি অরবিন্দু থেকে ২৪ কড়া আর তার ভাই থেকে ৩ কড়া মোট ২৭ কড়া জায়গা নিয়েছি সেখানে বসতবাড়ি নির্মানের জন্য। এখন ও আমার জায়গা আমি বুজিয়া পাই নি এ নিয়ে ইতিপূর্বে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকও হয়েছে। হামলার ঘটনা স্বীকার করে অজিত নিজেও আহত হয়েছেন বলে জানান।
ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, অরবিন্দু ২৭ কড়া জায়গা অজিতকে বিক্রি করেছে এবং এর বাইরে আরো ১৫ কড়া জায়গা বিক্রির বায়না নামা সম্পাদন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :