পটুয়াখালী প্রতিনিধি মিঠুন পাল: পটুয়াখালীর গলাচিপার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চর মহিউদ্দিন গ্রামের বেড়িবাঁধ এর সন্নিকটে নদী ভাঙ্গন ও চরবাংলা গ্রামে কোন বেড়িবাঁধ না থাকায় সরাসরি নদীর জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। গত প্রায় তিন দশক ধরে এ ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় যে কোন সময় চর মহিউদ্দিন গ্রামের জনজীবন, ঘর-বাড়ি ও কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ও প্রতি বছরই চরবাংলা গ্রামের জনজীবন, ঘর-বাড়িসহ আজ হুমকির পথে। সরেজমিনে দেখা গেছে ওই দুই গ্রামের পাশ দিয়ে বহমান তেঁতুলিয়া নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চর মহিউদ্দিন গ্রামের পাশ দিয়ে বহমান তেতুলিয়া নদীর চারপাশ ঘেরা প্রায় ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে। আসছে বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা। এ ছাড়া চর বাংলা গ্রাম সম্পূর্ণ অরক্ষিত রয়েছে।
চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরবাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন বলেন, জান-মাল রক্ষার জন্য নদী ভাঙ্গন রোধে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। তেঁতুলিয়া নদী ভাঙ্গনের কারণে চর মহিউদ্দিন গ্রামের বেড়িবাঁধ আজ হুমকির মুখে এবং চর বাংলা গ্রামের চারপাশে কোন বেড়িবাঁধ না থাকায় উক্ত গ্রামে বসবাসরত মানুষ প্রতি বছর ঝড়-তুফানের সাথে যুদ্ধ করে বেচেঁ আছে উপকূলীয় নদী ভাঙ্গনি এলকার জনসাধারণ। এ ব্যাপারে চরবিশ্বাস ইউপি চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন বাবুল মুন্সি জানান, চর মহিউদ্দিন ও চরবাংলা গ্রামের বসবাসরত মানুষজন ও কৃষি ফসল রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অতি জরুরী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। এবিষয়ে নদী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সংগঠন “নোঙর” বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সুমন সামস্ বলেন, নোঙর নদ নদী খাল বিল ও উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণের কথা বলে, তাই নদী ভাঙ্গনি এলাকার জনসাধারণের জীবন মান ও নদী ভাঙ্গন রোধের বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ নদী কমিশন এর উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসবো। আশা করি নিশ্চয় একটি শুভবার্তা আসবে। উক্ত বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে চরাঞ্চলের নদী ভাঙ্গনি উপকূলীয় এলাকা সহ চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চর মহিউদ্দিন ও চরবাংলা গ্রাম দুটির বিষয়ে আশা করি শিঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :