পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে জমিজমা বিরোধ এর জেরে মারামারি সরকার থেকে দেয়া ঘর ভাংচুর এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আলি হোসেন গংরা অসহায় রহিম শেখ এর ঐ ঘরে দফায় দফায় হামলা করে ঘর ভাংচুর করে। এতে ভীতসন্ত্রস্ত রহিম শেখ ও তার পরিবার নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে রহিম শেখ উল্লেখ করেন,আমি রহিম শেখ অত্যন্ত অসহায় পরিবার স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোন রকমে বসবাস করি। আমার এই অসহায় অবস্থা দেখে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমার নামে একখানা সরকারি ঘর বরাদ্দ করেন। আমার পুরনো জরাজীর্ণ ঘরখানা সরিয়ে সরকারি ঘরখানা নির্মাণ করতে গেলে আমার ভগ্নিপতি আলী হোসেন ও ভগ্নিপতির ভাই আলাউদ্দিন বাঁধা প্রদান করে ।আমার ঘরে চারপাশে ময়লা আর্বজনা মলমূত্র ফেলে রাখে আমার ক্রয়করা ৬ শতাংশ জমির মধ্যে ৩শতাং দখলে আছে বাকিটা দখল করে নিয়ে গেছে। এরপর বিবাদীরা যোগসাজোস করে আমার ঘরের উপর বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আক্রমণ করে । গত মাসের ১১তারিখ আমি বাধা দিতে গেলে রানা, আব্দুল্লাহ, ও সাবিনা বড় একটি দেশীয় অস্ত্র দা বটি দিয়ে আমাকে মারা জন্য ঘরের চারপাশে ঘোরে। দা দিয়ে কোপ দিয়ে ঘরের টিনের বেড়া কেটে ফেলে। আমি ভয়ে দরজা বন্ধ করে ঘরের মধ্যে বসে থাকি। আমি ডাক চিৎকার দিলে আসে পাশের লোকজন আসলে ওরা চলে যায়। আমি কোন প্রকার বাঁধা প্রদান করতে গেলে বিবাদীরা আমার এবং আমার অসহায় পরিবারের উপর ক্ষীপ্ত হয় এবং আমাদেরকে মারার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়। এ বিষয়ে জানার জন্য, আলি হোসেন, রানা, আব্দুল্লাহ তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন, রহিম শেখ এর একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।