উত্তর কোরিয়া তাদের ইয়ংবেয়ন পারমাণবিক চুল্লি ফের চালু করেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।
চুল্লিটিতে পারমাণবিক অস্ত্রে ব্যবহৃত প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করা হত বলে ধারণা করছে সংস্থাটি।
শুক্রবার আইএইএ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, পাঁচ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ওই চুল্লিতে ২০১৮ সালের পর এই প্রথম কার্যক্রম চালানোর লক্ষণ পাওয়া গেছে।
পাঁচ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন চুল্লির ইয়ংবেয়ন পরমাণু স্থাপণা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পর ২০২১ সালের জুলাইয়ের শুরুর দিকে এই চুল্লিতে প্রথম কার্যক্রম চলার লক্ষণ পাওয়া গেছে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেছেন, আইএইএ’র প্রতিবেদন সংলাপ এবং কূটনীতির জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিবেদন নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা এবং কোরিয়া উপদ্বীপকে নিরস্ত্রীকরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-কে নিষেধাজ্ঞা দেয় পিয়ংইয়ং। এরপরও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গোপনে নজরদারি চালায় আইএইএ। নিষেধাজ্ঞার পর থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে গেছে উত্তর কোরিয়া। পরীক্ষামূলকভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়।
উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য সীমিত হওয়ায় অস্ত্রের সংখ্যা জানা অসম্ভব। অলব্রাইট আনুমানিক হিসাব দিয়ে বলেছেন, দেশটির বছরে চার থেকে ছয়টি বোমা তৈরির ক্ষমতা আছে।
আপনার মতামত লিখুন :