বরিশাল নগরীতে প্রতিপক্ষের নিক্ষেপ করা ইটের আঘাতে সাবেক এক সেনা সদস্যের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার সন্ধ্যায় মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানাধীন নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফিশারী রোড এলাকায় হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই নারীর নাম আতিয়া খানম কনা (৪০)। আতিয়া খানম তিন সন্তানের জননী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী।
গিয়াস উদ্দিন জানান, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফিশারী রোড এলাকায় আমার একটি জমি আছে। সেখানে বাড়ি করতে গিয়ে ২৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মরহুম জাহাঙ্গীর হোসেনের দুই ভাই হুমায়ুন কবির ও তৌহিদুল ইসলাম মুন্নার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তাদের সাথে সুসম্পর্কের কারণে আমি বাড়ি তৈরির যাবতীয় কাজ তাদের নিয়ে করার কথা জানাই। কিন্তু রোববার বিকেলে হঠাৎ মুন্না আমাকে বকাঝকা শুরু করে এবং তার স্ত্রীকে আমি ফোন দিয়েছি বলে অভিযোগ করে। কিন্তু এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
তিনি আরও বলেন, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমার স্ত্রীকে লক্ষ্য করে একটি ইট নিক্ষেপ করে তৌহিদুল ইসলাম মুন্না। ওই ইট আমার স্ত্রীর মাথায় লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আমি আইনের আশ্রয় নেব।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তৌহিদুল ইসলাম মুন্নার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জগলুল মোর্শেদ বলেন, গিয়াসউদ্দিন ও তৌহিদুলের ঝগড়া ও হাতাহাতির সময় আতিয়া খানম থামাতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আতিয়া খানম মারা যান।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ঘটনা শুনে হাসপাতলে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তবে প্রাথমিকভাবে জেনেছি, অসুস্থ হয়ে আতিয়া খানম মারা গেছেন। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এরপরও যদি লিখিত অভিযোগ পাই তাহলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :