ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে পরাজিত ফ্যাসিবাদীদের দৌরাত্ম্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৫০ বার পড়া হয়েছে
সময়কাল এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার পর ২১ আগস্ট তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান (রুটিন দায়িত্ব)। তিনি এত দিন ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের (গবেষণা) দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুই মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এখনো পরিচালক গবেষণা হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। সাধারণত ব্রির জেষ্ঠ্য চীফ সাইন্টিফিক অফিসার (সিএসও) কে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এক হতে তিন পর্যন্ত ড. আমিনুল ইসলাম, ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর এবং ড. মুন্নুজান খানমকে বাদ দিয়ে নিজেদের জাতীয়তাবাদী আদর্শের পরিচয় দিয়ে চার নম্বরে থাকা ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, আট নম্বরে থাকা ড. শেখ শামিউল হক (সদ্য এলপিআর এ গিয়েছেন), দশ নম্বরে থাকা ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম, এবং আঠারো নম্বরে থাকা ড. মোঃ আনোয়ারুল হক পরিচালক হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। ফলশ্রুতিতে এখনো পরিচালক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। চলতি মাসের আট তারিখ কৃষি উপদেষ্টা ব্রি ভিজিটের সময় নিজেদের দ্বন্দ্ব মিঠানোর জন্য আহব্বান জানান। সমস্যা সৃষ্টি করেন আঠারো নম্বরে থাকা ড. মোঃ আনোয়ারুল হক।

পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে তাঁকে ব্রির জাতীয়তাবাদী আদর্শের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আহবায়ক নির্বাচন করা হয়। অথচ তিনি নীচের (আঠারো নম্বরে) অবস্থানে থেকেও নিজে পরিচালক হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন, ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মুকুল এবং ড. মো. গোলাম কিবরিয়া ভূয়া এর পরামর্শে। ফলে সৃষ্টি হয় নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ এবং ভাঙ্গন। অপ্রকাশিতভাবে ব্রিতে সৃষ্টি হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রুপ, জামায়েত আদর্শের বিজ্ঞানী গ্রুপ, জাতীয়তাবাদী শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রুপ এবং জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রুপ এবং শ্রমিক গ্রুপ। সু-কৌশলে এই কাজটি করেন হাবিবুর রহমান মুকুল এবং গোলাম কিবরিয়া ভূয়া। ভাঙ্গন ধরিয়ে সকল ক্ষমতার কেন্দ্রে নিজেকে বসাতে চান ড. মুকুল এবং ড. কিবরিয়া। ড. মুকুল- ড. মো আনোয়ারুল হককে নিয়ে দৌড়ঝাঁপ এর ফলে নিজের শক্তি এবং অবস্থানকে ব্রিতে জানান দেন। শুরু করেন বদলি বাণিজ্য, প্রকল্প পরিচালক এবং ঠিকাদারদের নিকট হতে অর্থ এবং সুবিধাদি আত্মসাৎ।

প্রকল্প পরিচালককে বাদ দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সম্পর্কিত কমিটিও করেন বিভিন্ন সুবিধাদির জন্য। মুকুল এবং কিবরিয়ার অনুকম্পায় ব্রিতে বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোষর ড. মো. আব্দুল লতিফ (পরিচালক, প্রশাসন), ড. মো. আব্দুল কাদের (সিএসও, উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ), ড. মো. ইমরান হোসেন (ডিডি, প্রশাসন), মো. কাওসার আহমেদ (সিনিয়র এডি, প্রশাসন), ড. মো. কামরুজ্জামন মিলন (এসএসও, এফএমপিএইটি বিভাগ), ড. তাপস কুমার সরকার (এসএসও, জিকিউএন), ড. মো. মোফাজ্জল হোসেন (প্রকল্প পরিচালক এবং সিএসও, কীটত্তত্ব বিভাগ), ড. মো. হুমায়ুন কবীর (সিএসও, এআরডি), আতিয়া রোকসানা (পিপিও), ড. মো. খায়রুরল আমল ভূইয়া (পিএসও, কৃষিত্বত্ত বিভাগ) এবং ড. মোহাম্মদ রেজাউল মনির রঞ্জু (পিএসও, খামার বিভাগ)সহ অনেকেই। ড. মো. আব্দুল লতিফ আওয়ামী লীগের সনদ দেখিয়ে ফ্যাসিবাদের আমলে পরিচালক হন। উনার প্রদর্শশিত সনদ এখন সবার মোবাইলে মোবাইলে। ড. মো. আব্দুল কাদের নিজের এবং প্রাক্তন ডিজির প্রভাব কাটিয়ে বিভাগের দুইজন সিনিয়র বিজ্ঞানী ড. মো. এখলাছুর রহমান এবং ড. মাহমুদা খাতুনকে ডিঙ্গিয়ে সিএসও হিসেবে পদোন্নতি পান।

দখলে নেন ব্রির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের (পার্টান) পিডি এবং গোল্ডেন রাইস প্রকল্পের পিডিশীপ, হয়ে উঠেন কোটি কোটি টাকার এবং সম্পদের মালিক। অথচ প্রকল্পের চাকুরীর মাধ্যমে ব্রিতে তার কর্ম জীবন শুরু। অন্যদিকে ড. মো. ইমরান হোসেন নিয়োগের সময় ১৫ বছরের প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতার বদলে এনজিও’র জাল অভিজ্ঞতার সনদ দিয়ে প্রশাসনের উপ-পরিচালকের পদ চাকুরী নেন। মো. কাওসার আহমেদ আগের ডিজির সকল প্রশাসনিক অপকর্মের ডান হাত ছিল। তাছাড়া তার আওয়ামী প্রভাবে প্রশাসনের সবাই তটস্ত ছিল। ড. মো. কামরুজ্জামান মিলন এবং ড. তাপস কুমার সরকার প্রকল্প হতে ব্লক পদে কৃষি প্রকৌশলী হিসেবে চাকুরী স্থায়ী হলে পদোন্নতির কোন সুযোগ ছিল না। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দাপটে নিজেদের বয়স বেশী থাকা সত্ত্বেও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে অন্যায়ভাবে নিয়োগ নেন। তাদের অবৈধ নিয়োগ নিয়ে পরবর্তীতে তদন্ত হয় এবং নিয়োগের সময় বয়স বেশি ছিল তাও প্রমাণিত হয়।

কিন্তু কোন এক অজানা কারণে তাদের কিছুই হয়নি। বরং দুজনেরই দাপট আরো বেড়েছে সময়ে সময়ে। ড. মো. মোফাজ্জল হোসেন-এর স্ত্রীর নিকট আত্ত্বীয় প্রাক্তন কৃষি মন্ত্রী ড. রাজ্জাক এর বন্ধুর দোহাই দিয়ে প্রকল্প পরিচালক এবং বিভাগের সিনিয়র বিজ্ঞানীসহ অনেককে টপকিয়ে পদোন্নতীসহ নানাবিধ কাজে জড়িত থাকলেও এখনো সে বীর দর্পে ব্রিতে অবস্থান করছেন। ড. মো. হুমায়ুন কবীর ছিল ব্রি আওয়ামী পরিবারের নেতা। কিন্তু শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রুপের জন্য শেষদিকে তার অবস্থান কিছুটা নমনীয় ছিল। কারণ ব্রিতে প্রাক্তন কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এর গ্রুপ ছিল শক্তিলাশী। ড. রাজ্জাক গ্রুপের জান্ডা ছিল ড. মো. খায়রুরল আমল ভূইয়া, ড. মোহাম্মদ রেজাউল মনির রঞ্জু প্রমুখদের হাতে। আতিয়া রোকসানা-এর স্বামী একজন শক্তিশালী আওয়ামী কর্মী, যার দাপট এবং লবিং-এ আতিয়া রোকসানা চাকুরী পান। উল্লেখিত সবাইসহ আরো অনেকে এখন মুকুল এবং কিবরিয়ার ছায়ায় আশ্রিত। অন্যদিকে মুকুল এবং ড. মো. আনোয়ারুল হককে বিব্রত করে নিজের অবস্থানকে সুসংহত করার জন্য নীরবে এসব কাজের পরামর্শ দিচ্ছেন ড. গোলাম কিবরিয়া। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলেও ড. গোলাম কিবরিয়া ছিল ব্রি আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচিত ড. মো. সিরাজুল ইসলাম (সিএসও, খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগ) এবং ড. মো. আব্দুল কাদের (সিএসও, উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ) এর মধ্যমণি। দুজনের মধ্যমনি হয়ে নিয়ন্ত্রন করেছেন ব্রির রাজনীতি হতে বিভিন্ন কর্মকান্ড। ### গত ২০ আগস্ট ২০২৪ খ্রি. দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশ: ডিজি শাহজাহান কবীরের আশীর্বাদে অন্য বিভাগের দায়িত্ব নিয়ে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পান ড. পার

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে পরাজিত ফ্যাসিবাদীদের দৌরাত্ম্য

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার পর ২১ আগস্ট তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান (রুটিন দায়িত্ব)। তিনি এত দিন ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের (গবেষণা) দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুই মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এখনো পরিচালক গবেষণা হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। সাধারণত ব্রির জেষ্ঠ্য চীফ সাইন্টিফিক অফিসার (সিএসও) কে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এক হতে তিন পর্যন্ত ড. আমিনুল ইসলাম, ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর এবং ড. মুন্নুজান খানমকে বাদ দিয়ে নিজেদের জাতীয়তাবাদী আদর্শের পরিচয় দিয়ে চার নম্বরে থাকা ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, আট নম্বরে থাকা ড. শেখ শামিউল হক (সদ্য এলপিআর এ গিয়েছেন), দশ নম্বরে থাকা ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম, এবং আঠারো নম্বরে থাকা ড. মোঃ আনোয়ারুল হক পরিচালক হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। ফলশ্রুতিতে এখনো পরিচালক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। চলতি মাসের আট তারিখ কৃষি উপদেষ্টা ব্রি ভিজিটের সময় নিজেদের দ্বন্দ্ব মিঠানোর জন্য আহব্বান জানান। সমস্যা সৃষ্টি করেন আঠারো নম্বরে থাকা ড. মোঃ আনোয়ারুল হক।

পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে তাঁকে ব্রির জাতীয়তাবাদী আদর্শের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আহবায়ক নির্বাচন করা হয়। অথচ তিনি নীচের (আঠারো নম্বরে) অবস্থানে থেকেও নিজে পরিচালক হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন, ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মুকুল এবং ড. মো. গোলাম কিবরিয়া ভূয়া এর পরামর্শে। ফলে সৃষ্টি হয় নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ এবং ভাঙ্গন। অপ্রকাশিতভাবে ব্রিতে সৃষ্টি হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রুপ, জামায়েত আদর্শের বিজ্ঞানী গ্রুপ, জাতীয়তাবাদী শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রুপ এবং জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রুপ এবং শ্রমিক গ্রুপ। সু-কৌশলে এই কাজটি করেন হাবিবুর রহমান মুকুল এবং গোলাম কিবরিয়া ভূয়া। ভাঙ্গন ধরিয়ে সকল ক্ষমতার কেন্দ্রে নিজেকে বসাতে চান ড. মুকুল এবং ড. কিবরিয়া। ড. মুকুল- ড. মো আনোয়ারুল হককে নিয়ে দৌড়ঝাঁপ এর ফলে নিজের শক্তি এবং অবস্থানকে ব্রিতে জানান দেন। শুরু করেন বদলি বাণিজ্য, প্রকল্প পরিচালক এবং ঠিকাদারদের নিকট হতে অর্থ এবং সুবিধাদি আত্মসাৎ।

প্রকল্প পরিচালককে বাদ দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সম্পর্কিত কমিটিও করেন বিভিন্ন সুবিধাদির জন্য। মুকুল এবং কিবরিয়ার অনুকম্পায় ব্রিতে বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোষর ড. মো. আব্দুল লতিফ (পরিচালক, প্রশাসন), ড. মো. আব্দুল কাদের (সিএসও, উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ), ড. মো. ইমরান হোসেন (ডিডি, প্রশাসন), মো. কাওসার আহমেদ (সিনিয়র এডি, প্রশাসন), ড. মো. কামরুজ্জামন মিলন (এসএসও, এফএমপিএইটি বিভাগ), ড. তাপস কুমার সরকার (এসএসও, জিকিউএন), ড. মো. মোফাজ্জল হোসেন (প্রকল্প পরিচালক এবং সিএসও, কীটত্তত্ব বিভাগ), ড. মো. হুমায়ুন কবীর (সিএসও, এআরডি), আতিয়া রোকসানা (পিপিও), ড. মো. খায়রুরল আমল ভূইয়া (পিএসও, কৃষিত্বত্ত বিভাগ) এবং ড. মোহাম্মদ রেজাউল মনির রঞ্জু (পিএসও, খামার বিভাগ)সহ অনেকেই। ড. মো. আব্দুল লতিফ আওয়ামী লীগের সনদ দেখিয়ে ফ্যাসিবাদের আমলে পরিচালক হন। উনার প্রদর্শশিত সনদ এখন সবার মোবাইলে মোবাইলে। ড. মো. আব্দুল কাদের নিজের এবং প্রাক্তন ডিজির প্রভাব কাটিয়ে বিভাগের দুইজন সিনিয়র বিজ্ঞানী ড. মো. এখলাছুর রহমান এবং ড. মাহমুদা খাতুনকে ডিঙ্গিয়ে সিএসও হিসেবে পদোন্নতি পান।

দখলে নেন ব্রির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের (পার্টান) পিডি এবং গোল্ডেন রাইস প্রকল্পের পিডিশীপ, হয়ে উঠেন কোটি কোটি টাকার এবং সম্পদের মালিক। অথচ প্রকল্পের চাকুরীর মাধ্যমে ব্রিতে তার কর্ম জীবন শুরু। অন্যদিকে ড. মো. ইমরান হোসেন নিয়োগের সময় ১৫ বছরের প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতার বদলে এনজিও’র জাল অভিজ্ঞতার সনদ দিয়ে প্রশাসনের উপ-পরিচালকের পদ চাকুরী নেন। মো. কাওসার আহমেদ আগের ডিজির সকল প্রশাসনিক অপকর্মের ডান হাত ছিল। তাছাড়া তার আওয়ামী প্রভাবে প্রশাসনের সবাই তটস্ত ছিল। ড. মো. কামরুজ্জামান মিলন এবং ড. তাপস কুমার সরকার প্রকল্প হতে ব্লক পদে কৃষি প্রকৌশলী হিসেবে চাকুরী স্থায়ী হলে পদোন্নতির কোন সুযোগ ছিল না। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দাপটে নিজেদের বয়স বেশী থাকা সত্ত্বেও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে অন্যায়ভাবে নিয়োগ নেন। তাদের অবৈধ নিয়োগ নিয়ে পরবর্তীতে তদন্ত হয় এবং নিয়োগের সময় বয়স বেশি ছিল তাও প্রমাণিত হয়।

কিন্তু কোন এক অজানা কারণে তাদের কিছুই হয়নি। বরং দুজনেরই দাপট আরো বেড়েছে সময়ে সময়ে। ড. মো. মোফাজ্জল হোসেন-এর স্ত্রীর নিকট আত্ত্বীয় প্রাক্তন কৃষি মন্ত্রী ড. রাজ্জাক এর বন্ধুর দোহাই দিয়ে প্রকল্প পরিচালক এবং বিভাগের সিনিয়র বিজ্ঞানীসহ অনেককে টপকিয়ে পদোন্নতীসহ নানাবিধ কাজে জড়িত থাকলেও এখনো সে বীর দর্পে ব্রিতে অবস্থান করছেন। ড. মো. হুমায়ুন কবীর ছিল ব্রি আওয়ামী পরিবারের নেতা। কিন্তু শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রুপের জন্য শেষদিকে তার অবস্থান কিছুটা নমনীয় ছিল। কারণ ব্রিতে প্রাক্তন কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এর গ্রুপ ছিল শক্তিলাশী। ড. রাজ্জাক গ্রুপের জান্ডা ছিল ড. মো. খায়রুরল আমল ভূইয়া, ড. মোহাম্মদ রেজাউল মনির রঞ্জু প্রমুখদের হাতে। আতিয়া রোকসানা-এর স্বামী একজন শক্তিশালী আওয়ামী কর্মী, যার দাপট এবং লবিং-এ আতিয়া রোকসানা চাকুরী পান। উল্লেখিত সবাইসহ আরো অনেকে এখন মুকুল এবং কিবরিয়ার ছায়ায় আশ্রিত। অন্যদিকে মুকুল এবং ড. মো. আনোয়ারুল হককে বিব্রত করে নিজের অবস্থানকে সুসংহত করার জন্য নীরবে এসব কাজের পরামর্শ দিচ্ছেন ড. গোলাম কিবরিয়া। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলেও ড. গোলাম কিবরিয়া ছিল ব্রি আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচিত ড. মো. সিরাজুল ইসলাম (সিএসও, খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগ) এবং ড. মো. আব্দুল কাদের (সিএসও, উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ) এর মধ্যমণি। দুজনের মধ্যমনি হয়ে নিয়ন্ত্রন করেছেন ব্রির রাজনীতি হতে বিভিন্ন কর্মকান্ড। ### গত ২০ আগস্ট ২০২৪ খ্রি. দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশ: ডিজি শাহজাহান কবীরের আশীর্বাদে অন্য বিভাগের দায়িত্ব নিয়ে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পান ড. পার

নিউজটি শেয়ার করুন