নজরুল ইসলাম আলীমঃ
বাকেরগঞ্জ জেলা নামটি ১৭৯৭ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ছিল। ১৯৯৩ সালে বরিশাল বিভাগ সৃষ্টির ফলে বাকেরগঞ্জ নামটি জেলা থেকে বাদ দেয়া হয়। জেলা সদর বরিশালের নামে বিভাগের নামকরণ করা হলে ১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর থানাটি উপজেলায় উন্নীত হয় এবং বাকেরগঞ্জ শহরটি উপজেলা শহরে পরিণত হয়।বাকেরগঞ্জ জেলা থেকে উপজেলায় পরিনত হয়েছে প্রায় ৪০ বছর পার হলেও নেই কোনো দর্শনীয় স্থান পার্ক। বাকেরগঞ্জ উপজেলা অতি প্রাচীন উপজেলা প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা গঠিত হয়। দির্ঘ তিন মেয়াদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পৌর শহরকে আমূল পরিবর্তন এনে আধুনিকায়ন করেছে পৌর শহর। উপজেলা প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর অতিবাহিত হলেও এই উপজেলায় ও পৌর শহরে গড়ে ওঠেনি কোন বিনোদন কেন্দ্র শিশু পার্ক।বাকেরগঞ্জ পৌরসভাকে দেশের বুকে আধুনিক পৌরসভায় রুপান্তর করা হলেও পৌর এলাকা সহ উপজেলায় নেই নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থান। পুরান কিছু নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থান থাকলেও আবার সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। কিছু কিছু নিদর্শনের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। বাকিগুলো অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। ফলে উপজেলা বাসির ঘুরে দেখার মতো তেমন কোন জায়গা নেই। পিকনিক স্পট তো দূরের কথা নেই- কোন নিরিবিলি বসে গল্প-আড্ডা দেয়ার মতো পরিবেশ।স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর উপজেলা পরিষদ চত্বর মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনে শেখ রাসেল শিশু পার্ক ভিক্তি প্রস্তর স্থাপন করেন সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রতনা। ৫ বছর অতিবাহিত হলেও শেখ রাসেল শিশু পার্ক গড়ে ওঠেনি। বর্তমানে ঐ মাঠে গরু ছাগল ছড়াচ্ছে স্থানীয় লোকজন। অনেকে গড়ে তুলেছেন অবৈধ স্থাপনা দোকানপাট।বাকেরগঞ্জ উপজেলা শাসন শোসন করেছে অনেক এমপি মন্ত্রী অথচ অবহেলিত রয়ে গেছে এই দির্ঘ জনপথ। বর্তমান সরকারের আমলে উন্নয়নের জোয়ারে উপজেলার চিত্র অনেকটা পরিবর্তন হলেও বিনোদন কেন্দ্র নিয়ে নেই কারো কার্যকারী উদ্যোগ।স্থানীয় সংসদ সদস্য সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় বাকেরগঞ্জ উপজেলায় গড়ে ওঠেনি কোন বিনোদন কেন্দ্র। ফলে বাকেরগঞ্জের মানুষ বরিশালসহ অন্যান্য জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা এক ধরনের ভোগান্তি ও বাকেরগঞ্জ বাসির জন্য অর্থনৈতিক ক্ষতি।উপজেলা শহরের বাসিন্দারা জানান, অন্যসব উন্নয়ন অনুযায়ী এখানে কোন বিনোদন কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। নেই কোন ঘুরে দেখার মতো জায়গা আর পরিবেশ। উপজেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ফিরে আনতে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তারা।পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া জানান, পৌর শহরকে সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কাজ চলমান রয়েছে। বাকেরগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর কোনও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। কিন্তু ইতিমধ্যে শহরের প্রান কেন্দ্র থেকে বয়ে যাওয়া শ্রীমন্ত নদীর পুনঃখনন কাজ চলছে। পৌরবাসীর কথা চিন্তা করে শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর দুই পাড়ে মিনি পার্ক ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাকেরগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ৷
আপনার মতামত লিখুন :