একই ইটভাটায় কাজ করতেন জয়নব বেগম (৪১) ও মিঠুন আলী (২৮)। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিন মাসের সম্পর্কে বিয়ের চাপ দেওয়ায় জয়নবকে রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান মিঠুন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিঠুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক।
তিনি বলেন, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় জয়নবকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মিঠুন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৭ এপ্রিল মিজান ও জুলেখা নাম ব্যবহার করে স্বামী-স্ত্রীর ভুয়া পরিচয় ও ঠিকানা দিয়ে রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার হোটেল ড্রিম হ্যাভেনের ৪০৩ নম্বর কক্ষে ওঠেন তারা। হোটেলে উঠে প্রথমে ধর্ষণের পর জয়নবকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যান মিঠুন।
আরএমপি কমিশনার আরও বলেন, এ ঘটনা নিহতের ভাই রাজপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাতে নাটোরের আগদিঘা গ্রাম থেকে পুলিশ অভিযুক্ত মিঠুনকে গ্রেফতার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জয়নবকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে কমিশনার বলেন, গ্রেফতারের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ দুপুরে মিঠুন আলীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মিঠুনই একমাত্র আসামি।
আপনার মতামত লিখুন :