ম্যাচের শুরু থেকেই মালদ্বীপকে কোণঠাসা করে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গোল পাওয়ার পর আধিপত্য ধরে রাখতে পারল না তারা। উল্টো ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতায় ফেরার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে গেল মালদ্বীপ। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে নাটকীয় মোড় নিল। স্পট কিক থেকে ব্যবধান বাড়ালেন তপু বর্মন। ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে ১৮ বছর পর মালদ্বীপকে হারানোর উচ্ছ্বাসে মাতল বাংলাদেশ।
আজ শনিবার (১৩ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কার প্রাইম মিনিস্টার মাহিন্দা রাজাপাকসে আন্তর্জাতিক ট্রফিতে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ।
২০০৩ সালে সাফ ফুটবলে সবশেষ মালদ্বীপকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে টানা দেড় যুগ জয়হীন। তবে এবার শ্রীলঙ্কার চার জাতি প্রতিযোগিতায় ইতিহাস পাল্টে দিল বাংলাদেশ। এই জয়ে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
গত মাসের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার চার জাতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় ঘুরে দাঁড়ালেন জামাল-তপুরা। কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে ম্যাচের ১১তম মিনিটে জামালের গোলে মালদ্বীপের বিপক্ষে লিড নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো-ইনে বক্সের ভেতর মালদ্বীপের এক খেলোয়াড় লাফিয়ে হেড করতে চাইলেও পারেননি, ছুটে যাওয়া সেই বল আরেক খেলোয়াড়ও পায়ে ছোঁয়াতে পারেননি। অনেকটা ভাগ্যক্রমে বল চলে যায় দূরের পোস্টে। যেখানে একেবারে ফাঁকায় ছিলেন জামাল। প্লেসিং শটে সহজ সুযোগটা কাজে লাগেনি ভুল করেননি এই মিডফিল্ডার। জাতীয় দলের জার্সিতে জামালের এটি প্রথম গোল।
তবে বিপত্তি ঘটে সহকারী রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজালে। যদিও বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা কড়া আপত্তি জানান। তাদের অবস্থান জোরালো হওয়ায় রেফারি তার সহকারীর সঙ্গে আলোচনা করে গোলের সিদ্ধান্ত জানান। যদিও লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ৩২তম মিনিটে মালদ্বীপকে সমতায় ফেরান ইব্রাহিম আইসাম। কর্নার থেকে ৬ গজ দূরত্ব থেকে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফুটবলার।
বিরতির পর দাপট দেখানোর চেষ্টা করে মালদ্বীপ। বেশ কয়েকবার ভয় ছড়িয়েছে বাংলাদেশের রক্ষণে। যদিও গোল পায়নি। বরং বাংলাদেশ তিনটি সুযোগ থেকে একটি গোল আদায় করে নেয়।
বদলি নেমে নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও জুয়েল রানা। ৬০তম মিনিটে ফয়সাল বক্সের ভেতরে বল পেয়ে লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। মিনিট ছয়েক পর রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো-ইন থেকে আবারও ফাহিমের শট দূরের পোস্ট দিয়ে যায়।
তবে ৮৭তম মিনিটে বাংলাদেশ সফল। জুয়েল রানাকে নিজেদের সীমানায় ফেলে দেন মালদ্বীপ গোলকিপার আলী নাইজ। এতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান শ্রীলঙ্কান রেফারি। স্পট কিকের সুযোগটা নষ্ট করেননি তপু। গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করে ৩ পয়েন্ট এনে দেন এই ডিফেন্ডার। এরই সঙ্গে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে মারিও লেমস পেয়ে যান প্রথম জয়।
আগামী ১৬ নভেম্বর রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন :