অভিনব কৌশলে সরকারি প্রণোদনার ৭৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা রুখে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। পণ্য রপ্তানির নামে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণার কম পণ্য রপ্তানি করে টাকার অঙ্ক বেশি দেখিয়ে প্রণোদনার টাকা আত্মসাতের ছক কষেছিল।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের ডেপুটি কমিশনার আহসান উল্লাহ যুগান্তরকে জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সাগর জুট ডাইভারসিফাইড ইন্ডাস্ট্রিজের পাঁচটি বিল অব এক্সপোর্টের অধীনে রপ্তানি চালানে অনিয়ম ধরা পড়ায় আটকে দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১২ হাজার ২১৫ কেজিতে ৮২ হাজার পিস পণ্য রপ্তানির ঘোষণা দিয়েছিল। এর মূল্য ৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় ১ হাজার ৯৭ কেজি পণ্য পাওয়া যায়। এর মূল্য ২৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এ চালানের মাধ্যমে ৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা অবৈধভাবে দেশে এনে এর ২০ শতাংশ হিসাবে ৭৬ লাখ টাকা সরকারি প্রণোদনা হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছিল। ঘোষিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে-ডোর ম্যাট, জুট ন্যাপকিন ও টেবল রানারের মতো পাটজাত পণ্য।
কাস্টম সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার নির্দিষ্ট কিছু রপ্তানি পণ্যের ওপর এক শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা বা প্রণোদনা দিচ্ছে। এ সুযোগের অপব্যবহার করে পণ্য রপ্তানির নামে অর্থ হাতিয়ে নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে একটি চক্র।
এ ব্যাপারে সাগর জুট ডাইভারসিফাইড ইন্ডাস্ট্রিজের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আজিজুল হক অ্যান্ড কোং-এর ব্যবসায়িক অংশীদার আশরাফুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, পণ্যের দায়-দায়িত্ব রপ্তানিকারকের। পণ্য চালান আটকের পর রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। রপ্তারিকারকের সন্দেহ-তার ক্ষতি করতে তারই (রপ্তানিকারকের) প্রতিষ্ঠানের অসাধু কোনো কর্মচারী এটা করে থাকতে পারে। তবে মালিকপক্ষ কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নয়।
আপনার মতামত লিখুন :