রাজশাহী মহানগরীর দাশপুকুরে ডবল মার্ডার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী জাবেদ ও কথিত সাংবাদিক নুরে ইসলাম মিলন গং - সময়কাল

রাজশাহী মহানগরীর দাশপুকুরে ডবল মার্ডার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী জাবেদ ও কথিত সাংবাদিক নুরে ইসলাম মিলন গং


admin-abbas প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১, ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ / ৭৭
রাজশাহী মহানগরীর দাশপুকুরে ডবল মার্ডার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী জাবেদ ও কথিত সাংবাদিক নুরে ইসলাম মিলন গং

মোঃমাসুদ আলী (পুলক) রাজশাহী ব্যুরোঃ-রাজশাহী মহানগরীর দাশপুকুরে ডবল মার্ডার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী জাবেদ ও কথিত সাংবাদিক নুরে ইসলাম মিলন ।প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছেন তারা ।

দাশপুকুরের ডাবল মার্ডারের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কথিত সাংবাদিক মিলনের বিরুদ্ধে একের পর এক সংবাদ প্রকাশ হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

প্রতারনা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি কথিত সাংবাদিক মিলন কুখ্যাত মাদককারবারি হাবিব তারা ও আসগর আলীকে সঙ্গে নিয়ে মাদক ব্যবসাসহ মহানগরী জুড়ে বিভিন্ন অপকর্মে করে চলেছেন। নগরীর বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহের জন্য রয়েছে তাদের ২ টি প্রাইভেট কার গাড়ি। খুচরা ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী মাদক সরবরাহ করে থাকেন তারা। এদের মধ্যে মিলনের কথিত বন্ধু হাবিব তারার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। কথিত সাংবাদিকতার আড়ালে মাদক বহনের সাথে জড়িত।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে. সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিলন এর আগেও একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন সেই সুবাদে কারাগারে থাকা এক আসামির সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুবাদে মিলন জামিনে বেরিয়ে কারাগারে থাকা ওই আসামির মামলা দেখভাল করার নামে তার স্ত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে মিলনের দ্বিতীয় স্ত্রী কারাগারে থাকা আসামী ছিলেন তার স্বামী।

এছাড়াও সাজাপ্রাপ্ত আসামি কথিত সাংবাদিক মিলন বর্তমানে উপশহরে অবস্থিত একটি আবাসিক হোটেলের মালিক মাসুদের সাথে জড়িত থেকে নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন । এব্যপারে দেহ ব্যবসা বন্ধে আরএমপি কমিশনার বরাবর মিলনসহ বেশ কয়েজনের নামে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
আরো জানাগেছে কথিত সাংবাদিক মিলন গত ৩১ জুলাই রাজশাহী মহানগরীতে ১ বছরের বিনাশ্রম সাজাপ্রাপ্ত ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী নুরে ইসলাম মিলনকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৫। আটক মিলন দৈনিক উপচারের পত্রিকার কথিত ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। তিনি নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন ঘোড়ামারা গ্রামের মৃত মোস্তাক হোসেন ওরফে ডাবলুর ছেলে। বর্তমানে তিনি সাগরপাড়া (বটতলা) মোড়ের একটি বাড়িতে বসবাস করেন। আজ শনিবার দুপুর সোয়া ২ টার দিকে তাকে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন হড়গ্রাম নতুন বস্তিপাড়া এলাকা থেকে আটক করে
র্যাব-৫ এর একটি দল। পরে তাকে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব জানায়, র্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিএসসি মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সিআর ৩৮৯/২০১৭(সি), দায়রা নং-৬৬৬/২০১৭ ধারা-এনআই এ্যাক্ট-১৩৮ (সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট) এর সাজাপ্রাপ্ত আসামী নুরে ইসলাম (মিলন) নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা ধানাধীন হড়গ্রাম মোল্লাপাড়া নতুন বস্তি এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাবের ওই দলটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সাজা পরোয়ানার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় ঘটনাস্থল নতুন বস্তির পাঁকা রাস্তার উপর থেকে গ্রেফতার করে। বিধি মোতাবেক দেহ তল্লাশী করে আসামীর যাবতীয় মানবাধিকার সংরক্ষণ পূর্বক হেফাজতে গ্রহণ করে র্যাব। আসামীকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী একজন প্রতিবন্ধী। রেলে চাকুরী দেয়ার নামে একটি চেকের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা গ্রহণ করে মিলন। ২০১৭ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুগ্ম জজ আদালত-২ এ প্রতিবন্ধী রায়হান আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৬৬/১৭। মামলার বাদী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার বাবুপুর গ্রামের আমিনুল হকের ছেলে। মামলার এক বছর পর ২০১৮
সালের জানুয়ারী মাসের ১৮ তারিখে আদালতের বিচারক মিলনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। কিন্ত তিনি তখন পলাতক ছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে মামলার ওয়ারেন্ট থাকলেও মিলন গ্রেফতার হননি। শনিবার র্যাব তাকে গ্রেফতার করে বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করে। তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা চলমান রয়েছে।
নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার কর্তব্যরত অফিসার বলেন, ওয়ারেন্ট থাকায় র্যাব মিলনকে আটক করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

অপর দিকে, সন্ত্রাসী ও কিশোরগ্যাঙ্গ বাহিনীর লিডার জাবেদের বিরুদ্ধে রাজশাহী পুলিশ কমিশনার বরাবর হাফ- ডজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অনুসন্ধানে জানাযায়, নগরীর সাগর পাড়া এলাকার লতিফের ছেলে সন্ত্রাসী জাবেদ নিজেকে ঠিকাদার পরিচয় দিলেও কোন ঠিকাদারি বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারে নি আদালতে। জাবেদ এলাকাতে বিএনপির দুর্ধষ ক্যাডার ও নামেই পরিচিত এছাড়াও আওয়ামীলীগের মিছিলে বোমা হামলার আসামি সে। তার নেতৃত্বে এলাকায় গড়ে উঠে কিশোর গ্যাঙ বাহিনী। সে কিশোর গ্যাংদের দিয়ে নগরীতে মাদক, চুরি, ছিন্তাইসহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড করাচ্ছেন। তার

ক্যাডার বাহিনীর কারণে ভয়ে কেও মুখখুলতে সাহস পায় না, অনেকে রয়েছেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়। সম্প্রতি আরএমপি কমিশনার বরাবর অভিযোগকারী এক ভুক্তভোগী জানান, জাবেদ ও তার ক্যাডার বাহিনী তাকে নানা ভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন ভাবে তাকে হুমকি দেওয়ায় এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছেন তিনি।

এদিকে, সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী জাবেদ ও কথিত সাংবাদিক মিলনের মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান।

ব্রেকিং নিউজ