শেরপুর সদরে আমনের সোনালি বাম্পার ফলন, আগাম জাতেও কৃষকের মুখে হাসি
- আপডেট সময় : ০৪:৩৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

শেরপুর সদরে আমনের সোনালি বাম্পার ফলন, আগাম জাতেও কৃষকের মুখে হাসি
শেরপুর সদর উপজেলায় আমন ধান কাটার মৌসুমে এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত কৃষকেরা। সোনালি ধানে ভরে উঠেছে গ্রামের মাঠ-ঘাট। ধান কাটার পর একই জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদেও নেমে পড়েছেন তারা। স্বল্প মেয়াদি ফসল চাষে কৃষি বিভাগ দিচ্ছে সার্বিক সহায়তা।
জানা গেছে, সদর, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ এখন রবি ফসলের সবুজ গালিচায় ভরা। জেলার উর্বর মাটিতে আগাম ও স্বল্প মেয়াদি ফসল চাষ করে কৃষকেরা বাড়তি লাভবান হচ্ছেন।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় আমনের উৎপাদন আশানুরূপ হয়েছে।
শেরপুর সদর উপজেলার গাজিরখামার ইউনিয়নের কৃষক ফরিদ, সজিব মিয়া, রহমান শেখ ও আবুল হোসেন জানান, হাইব্রিড জাত—ধানীগোল্ড, ব্র্যাক-০১, মুক্তি-০১, ব্রি হাইব্রিড ধান-৬, সুপ্রিম-১৬ এবং আমন জাত—ব্রিধান-৭৫, ব্রিধান-৮৭, ব্রিধান-৯০, ব্রিধান-১০৩, বিনাধান-১৭সহ বেশ কয়েকটি উফশী জাতের ধান আগাম (১৫–২০ দিন আগে) কাটা যায় এবং ফলনও হয় খুব ভালো।
পাকুড়িয়া এলাকার কৃষকেরা জানান, আগাম ধান কাটার পর তারা সরিষা, মূলা ও লালশাকসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু করেছেন, যা তাদের বাড়তি লাভের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “চলতি মৌসুমে জেলায় ৯১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।”
শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু বলেন, “এ বছর সদর উপজেলায় ২৪ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। রোগ-পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার।”
তিনি আরও বলেন, “স্বল্প মেয়াদি ধানের চাষ বেড়ে যাওয়ায় ধান কাটার পরই কৃষকেরা একই জমিতে সরিষা, আলু ও শীতকালীন সবজি আবাদ করতে পারছেন। এতে কৃষিতে বৈচিত্র্য যেমন বাড়বে, তেমনি বাড়বে লাভও।










