উজিরপুরে ভাবির পরকীয়ার রঙ্গলীলা দেখায় দেবরের উপর হামলা।
- আপডেট সময় : ০৬:২৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
বরিশালের উজিরপুরের পূর্ব নারায়নপুরের মৃত আলম হাওলাদরের ছেলে টিপু হাওলাদারকে পরকীয়ার জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে তাকে নাটকীয় কায়দায় ৯/১০ জন চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং লাঠিসোটা, হাতুর, দা,চুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে, পরবর্তীতে স্থানীয়রা টিপুর চিৎকার শুনে ঘটনা স্থলে ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ বিষয় উজিরপুর থানায় একটি মামলা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, টিপু হাওলাদার তার চাচাতো ভাই কাতার প্রবাসী নাছির হাওলাদারের স্ত্রী আইরিনকে রাত আনুমানিক ২. টার দিকে একা একা বের হতে দেখলে তার পিছু নেয় এবং প্রেমিকের সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে, তখন তাদের ধরতে গেলে প্রেমিক পালিয়ে যায় ঘটনার সত্যতা প্রমান করার জন্য টিপু হাওলাদার আইরিনের হাত থেকে তার মোবাইল ফোনটি রেখে দিলে আইরিন ঘটনার মোর ঘুরিয়ে দিয়ে দৌড়ে গিয়ে শাশুরিকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বলতে থাকে টিপু আমার শিলতাহানি করার চেষ্টা করেছে টানাহ্যাঁচড়া করে আমার মোবাইল নিয়ে গেছে। সকাল হলে সবাই নাছিরের স্ত্রী আইরিনের কথাকে আমলে নিয়ে টিপুকে অপমান ও মারধর করে।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, টিপু হাওলাদার দীর্ঘ ৫ মাস পরে বাড়িতে আসলে গত ২৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে আইরিনের ভাই রিফাত হোসেন (২৩) পিতা আনোয়ার হোসেন, রাজিব চৌকিদার (৩৪), জাহিদ মুন্সি (৩৫), রফিকুল ইসলাম (৪০), মিদুল হাওলাদার (২০) সহ আরো ৪/৫ জন মিলে টিপু হাওলাদারের পথ আটকে চারিদিক থেকে এলো এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি দিয়ে জমিনে ফেলে দেয় তখন রিফাত তার হাতে দা দিয়ে টিপুর মাথায় কোপ দিলে তা টিপুর হাতে গিয়ে লাগে ও রাজিব চৌকিদার হাতুরি দিয়ে টিপুর হাটুর নিচে আঘাত করে এবং অন্যরা লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকলে টিপুর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনা স্থলে ছুটে আসে টিপুকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে দ্রুত বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। মারধরের কারণে টিপুর কিডনিতেও মারাত্মক জখম হয় তাই পরবর্তীতে শেবাচিমের কর্তব্যরত চিকিৎসক টিপুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ন্যাশনাল কিডনি হাসপাতালে রেফার করেন, এবং গতকাল তাকে ঢাকা ন্যাশনাল কিডনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এঘটনা সম্পর্কে নাছিরের স্ত্রী আইরিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সামনে আসেননি, খালাতো ভাই পরিচয়ে জাহিদ মুন্সি নামে একলোক বলেন, এখন মামলা হয়েছে আপনাদের তো আর কোনো কাজ নেই, আপনারা কেনো এখানে এসেছেন এ ঘটনা কে বা কারা করেছে তা আমরাও জানিনা অজথা আমার খালোতো বোন ও ভাইকে হয়রানি করছে তারা নির্দোষ এবং মুঠোফোনে তার মামা পরিচয়ে কবির মাওলানা নামে এক ব্যক্তি বলেন, আপনারা কেনো এসেছেন থানায় মামলা হয়েছে আমরা মেরেছি আমাদের আত্মীয়-স্বজন আমরা বুজবো আপনারা আগামীকাল আসেন আমি সব বুজিয়ে বলবো।
বিষয়টি নিয়ে কাতার প্রবাসী নাছিরের সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন, আমি দেশে নাই আর টিপু আমারই চাচাতো ভই আমরা নিজেরা নিজেরা একটা ঝামেলা হয়েছে যে মেরেছে সেও আামর শালা।, তাই আপনারা একটু দেখেন কি করা যায়।
এবিষয় উজিরপুর থানায় টিপু হাওলাদারের মা (তহমিনা বেগম) বাদী হয়ে আইরিনের ভাই ও বাবা সহ ৮/৯ জনকে আসামী করে ১৫৪ নং ধারায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলার বিষয় উজিরপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহম্মেদকে মুঠোফোনে মাধ্যমে জানতে চাইলে, তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন, গত ২৭ জানুয়ারী একটি মামলা হয়েছে, আমরা খুব দ্রুত আসামীদের আইনের আওতায় আনবো