ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি তৈরি এলাকায় আনন্দের ঝড় উঠেছে !

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৫৩ বার পড়া হয়েছে
সময়কাল এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলার হাট ইউনিয়নের খড়িবাড়ি গ্রামে প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে পরিবেশবান্ধব বাড়ি তৈরি করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন সওদাগর বর্মন (৬০)। ফেলে দেওয়া কোমল পানীয়ের প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে দৃষ্টিনন্দন বাড়ি তৈরি করছেন এই গ্রাম্য ব্যবসায়ী। সওদাগর বর্মন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলার হার্ট ইউনিয়নের খড়ি বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিকের বোতলে বালু ভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে পরিবেশবান্ধব এই বাড়ি তৈরি করছেন তিনি। তার বাড়িটি এখন ‘বোতল বাড়ি’ নামে পরিচিতি। আশপাশের অনেক মানুষ প্রায় প্রতিদিনই বাড়িটি দেখতে আসেন এখানে। সওদাগর বর্মন সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তার মুদি খানার দোকান ছিল। সেখান থেকেই এক বছরে প্লাস্টিকের বোতলগুলো তিনি জড়ো করেছেন। তিনি দেখেন যে অনেক মানুষ প্লাস্টিকের বোতলগুলো ফেলে দিয়ে চলে যায়। তখন থেকেই তিনি বোতলগুলো জড়ো করে বাড়ি বানানোর কথা চিন্তা করেন। এর মধ্যে তিনি ইউটিউব দেখে কিভাবে বোতল দিয়ে বাড়ি তৈরি করা যায় সেটি শিখে ফেলেন। এরপর সওদাগর তার বাড়ির কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, আমি ১০ দিন আগে বাড়ির কাজ শুরু করেছি। বাড়ির কাজ শেষ করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আপাতত আমি একটি রুম তৈরি করছি পরবর্তী সময়ে বাড়ির আরেকটি রুম তৈরি করব। এটি তৈরি করার পর দেখব যে কেমন লাগছে। এখন পর্যন্ত আমার কাছে যে বোতলগুলো ছিল সেগুলো দিয়ে আমি এই পর্যন্ত উঠিয়েছি। তবে বোতল এখন শেষ। আমি শুনেছি যে ভাঙারি দোকান থেকে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দিয়ে ১ কেজি বোতল কেনা যায়। এক কেজিতে ৫০টা বোতল হয়। সেই দিক থেকে ইটের তুলনায় বোতলের যে খরচ সেটা অনেক কম পড়বে।
সওদাগরের স্ত্রী কুমিলা রানী বলেন, আমার স্বামী এই বাড়িতে করতেছে দেখে আমি অবাক হয়েছি। আমি অনেকবার বলেছি যে এই বাড়িটি তুমি কিভাবে করবে। তিনি বলেন যে, এই বাড়িটা আমি অনেক সুন্দর করে করতে পারব। এখন দেখতেছি বাড়িটি অনেক সুন্দর হচ্ছে। এতে আমাদের খরচ অনেক কম হচ্ছে এবং বাড়িটা বেশ পরিবেশবান্ধব হবে বলে মনে হচ্ছে।
সওদাগর ভ্রমণের বাড়ি দেখতে আসা নিমাই বলেন,তার বাড়িতে দেখতে আমি আকচা ইউনিয়ন থেকে এসেছি। তার বাড়িটি অনেক সুন্দর হয়েছে। যদিও কাজ শেষ হয়নি, তবে এখন থেকে মনে হচ্ছে যে এটার খরচ অনেক কম এবং সুবিধা অনেক বেশি। বোতল বাড়িটি পরিবেশবান্ধব একটি বাড়ি।
ঢোলার হাট ইউনিয়নের খড়িবাড়ি গ্রামের ইউপি সদস্য ওহাব মিয়া বলেন, সওদাগর বর্মন প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করতেছে বলে শুনতে পেয়েছি। বাড়িটি নাকি সে অনেক যত্ন করে তৈরি করছে। পরিবেশবান্ধব ও ব্যতিক্রমধর্মী হওয়ায় অনেক মানুষ সেখানে দেখতে যাচ্ছে। আমি এখন পর্যন্ত যায়নি তবে আজকে তার বাড়ি দেখতে যাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঠাকুরগাঁওয়ে প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি তৈরি এলাকায় আনন্দের ঝড় উঠেছে !

আপডেট সময় : ১০:৩৮:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলার হাট ইউনিয়নের খড়িবাড়ি গ্রামে প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে পরিবেশবান্ধব বাড়ি তৈরি করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন সওদাগর বর্মন (৬০)। ফেলে দেওয়া কোমল পানীয়ের প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে দৃষ্টিনন্দন বাড়ি তৈরি করছেন এই গ্রাম্য ব্যবসায়ী। সওদাগর বর্মন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলার হার্ট ইউনিয়নের খড়ি বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিকের বোতলে বালু ভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে পরিবেশবান্ধব এই বাড়ি তৈরি করছেন তিনি। তার বাড়িটি এখন ‘বোতল বাড়ি’ নামে পরিচিতি। আশপাশের অনেক মানুষ প্রায় প্রতিদিনই বাড়িটি দেখতে আসেন এখানে। সওদাগর বর্মন সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তার মুদি খানার দোকান ছিল। সেখান থেকেই এক বছরে প্লাস্টিকের বোতলগুলো তিনি জড়ো করেছেন। তিনি দেখেন যে অনেক মানুষ প্লাস্টিকের বোতলগুলো ফেলে দিয়ে চলে যায়। তখন থেকেই তিনি বোতলগুলো জড়ো করে বাড়ি বানানোর কথা চিন্তা করেন। এর মধ্যে তিনি ইউটিউব দেখে কিভাবে বোতল দিয়ে বাড়ি তৈরি করা যায় সেটি শিখে ফেলেন। এরপর সওদাগর তার বাড়ির কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, আমি ১০ দিন আগে বাড়ির কাজ শুরু করেছি। বাড়ির কাজ শেষ করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আপাতত আমি একটি রুম তৈরি করছি পরবর্তী সময়ে বাড়ির আরেকটি রুম তৈরি করব। এটি তৈরি করার পর দেখব যে কেমন লাগছে। এখন পর্যন্ত আমার কাছে যে বোতলগুলো ছিল সেগুলো দিয়ে আমি এই পর্যন্ত উঠিয়েছি। তবে বোতল এখন শেষ। আমি শুনেছি যে ভাঙারি দোকান থেকে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দিয়ে ১ কেজি বোতল কেনা যায়। এক কেজিতে ৫০টা বোতল হয়। সেই দিক থেকে ইটের তুলনায় বোতলের যে খরচ সেটা অনেক কম পড়বে।
সওদাগরের স্ত্রী কুমিলা রানী বলেন, আমার স্বামী এই বাড়িতে করতেছে দেখে আমি অবাক হয়েছি। আমি অনেকবার বলেছি যে এই বাড়িটি তুমি কিভাবে করবে। তিনি বলেন যে, এই বাড়িটা আমি অনেক সুন্দর করে করতে পারব। এখন দেখতেছি বাড়িটি অনেক সুন্দর হচ্ছে। এতে আমাদের খরচ অনেক কম হচ্ছে এবং বাড়িটা বেশ পরিবেশবান্ধব হবে বলে মনে হচ্ছে।
সওদাগর ভ্রমণের বাড়ি দেখতে আসা নিমাই বলেন,তার বাড়িতে দেখতে আমি আকচা ইউনিয়ন থেকে এসেছি। তার বাড়িটি অনেক সুন্দর হয়েছে। যদিও কাজ শেষ হয়নি, তবে এখন থেকে মনে হচ্ছে যে এটার খরচ অনেক কম এবং সুবিধা অনেক বেশি। বোতল বাড়িটি পরিবেশবান্ধব একটি বাড়ি।
ঢোলার হাট ইউনিয়নের খড়িবাড়ি গ্রামের ইউপি সদস্য ওহাব মিয়া বলেন, সওদাগর বর্মন প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করতেছে বলে শুনতে পেয়েছি। বাড়িটি নাকি সে অনেক যত্ন করে তৈরি করছে। পরিবেশবান্ধব ও ব্যতিক্রমধর্মী হওয়ায় অনেক মানুষ সেখানে দেখতে যাচ্ছে। আমি এখন পর্যন্ত যায়নি তবে আজকে তার বাড়ি দেখতে যাবো।