ঢাকা ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাসারে প্রতিবন্ধীর মুদি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

মাদারীপুর প্রতিনিধি--
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
সময়কাল এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাদারীপুরের ডাসারে প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চনের একমাত্র উপার্জন ও বেঁচে থাকার শেষ সম্বল ছিল একটি মুদি দোকান তাও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পরেছেন সৈয়দ কাঞ্চন।

রবিবার (১১ফেব্রুয়ারি)২০২৪ ইং তারিখ রাত্র অনু ১১ ঘটিকার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ডাসার এলাকার সৈয়দ আতাহার আলী এবতেদায়ী মাদ্রাসার সামনে প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চনের মুদি দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

ডাসার থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থানে আসতে আসতে দোকানটি আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যায়।এতে দোকানের তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

স্থানীয়দের কাছে জানা যায়,প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চন ওই মুদি দোকানটির ব্যাবসা করে তার দুই মেয়ে স্ত্রীসহ চারজনের সংসার চালাতেন।দোকানটি আগুনে পুড়িয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

স্বজনরা জানান প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চন ডাসার উপজেলার ডাসার ইউনিয়নের বেতবাড়ী এলাকার সৈয়দ সোমেদ আলীর ছেলে।

এবিষয়ে প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চন মানুষিক ভাবে হতাশ হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি কে জানান,আমি ধারদেনা ও বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে এই দোকানটি করেছিলাম। এই দোকানের ব্যবসা দিয়ে আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সংসার চালিয়েছি।এখন আমি স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কি ভাবে বাঁচবো।

তিনি আরো বলেন আমি প্রতিদিনের মতো গতকাল রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ীতে যাই। যাওয়ার কিছুক্ষন পরে শুনি আমার দোকানে আগুন লেগেছে।এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।দোকান হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।আমি এখন কি করে আমার পরিবার কে নিয়ে বাঁচবো।আমি সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই।

এবিষয়ে ডাসার প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোকাররম হোসেন বলেন, বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চন এই দোকানটি দিয়ে ব্যাবসা করে লোনের কিস্তি পরিশোধ করতেন এবং তার পরিবারের জিবিকা
উপার্জন করে সংসার পেতেছেন।তার সেই শেষ সম্বল টাও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ আফরোজ বলেন,আমি ইতিমধ্যে সৈয়দ কাঞ্চনের দেকান পুড়ে যাওয়ার স্থান পরিদর্শন করছি।অসহায় এই পরিবারটিকে উপজেলা পরিষদ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ডাসারে প্রতিবন্ধীর মুদি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

আপডেট সময় : ০৯:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মাদারীপুরের ডাসারে প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চনের একমাত্র উপার্জন ও বেঁচে থাকার শেষ সম্বল ছিল একটি মুদি দোকান তাও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পরেছেন সৈয়দ কাঞ্চন।

রবিবার (১১ফেব্রুয়ারি)২০২৪ ইং তারিখ রাত্র অনু ১১ ঘটিকার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ডাসার এলাকার সৈয়দ আতাহার আলী এবতেদায়ী মাদ্রাসার সামনে প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চনের মুদি দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

ডাসার থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থানে আসতে আসতে দোকানটি আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যায়।এতে দোকানের তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

স্থানীয়দের কাছে জানা যায়,প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চন ওই মুদি দোকানটির ব্যাবসা করে তার দুই মেয়ে স্ত্রীসহ চারজনের সংসার চালাতেন।দোকানটি আগুনে পুড়িয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

স্বজনরা জানান প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চন ডাসার উপজেলার ডাসার ইউনিয়নের বেতবাড়ী এলাকার সৈয়দ সোমেদ আলীর ছেলে।

এবিষয়ে প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চন মানুষিক ভাবে হতাশ হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি কে জানান,আমি ধারদেনা ও বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে এই দোকানটি করেছিলাম। এই দোকানের ব্যবসা দিয়ে আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সংসার চালিয়েছি।এখন আমি স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কি ভাবে বাঁচবো।

তিনি আরো বলেন আমি প্রতিদিনের মতো গতকাল রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ীতে যাই। যাওয়ার কিছুক্ষন পরে শুনি আমার দোকানে আগুন লেগেছে।এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।দোকান হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।আমি এখন কি করে আমার পরিবার কে নিয়ে বাঁচবো।আমি সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই।

এবিষয়ে ডাসার প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোকাররম হোসেন বলেন, বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী সৈয়দ কাঞ্চন এই দোকানটি দিয়ে ব্যাবসা করে লোনের কিস্তি পরিশোধ করতেন এবং তার পরিবারের জিবিকা
উপার্জন করে সংসার পেতেছেন।তার সেই শেষ সম্বল টাও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ আফরোজ বলেন,আমি ইতিমধ্যে সৈয়দ কাঞ্চনের দেকান পুড়ে যাওয়ার স্থান পরিদর্শন করছি।অসহায় এই পরিবারটিকে উপজেলা পরিষদ থেকে সহযোগিতা করা হবে।