ডাসারে ব্যাংক কর্মকর্তার ঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি”সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি ডাকাত
- আপডেট সময় : ১২:১২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪ ১২০ বার পড়া হয়েছে
মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার দক্ষিণ ধুয়াসার গ্রামে শহিদুল ইসলাম কবিরাজ নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে (৭ মার্চ) রাতে তার শিশু ছেলে আবিদ ইসলামের গলায় ছুরি ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৭মার্চ)২০২৪ ইং তারিখ রাত্র ১টার দিকে ১২-১৩ জনের একটি ডাকাত দল ঘরের ছাদ দিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে জরজা ভেঙ্গে সবাইকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ৮ভরি স্বর্ণালঙ্কার সহ ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এর ভাড়াটিয়া ৯৯৯ এ ফোন দিলে ডাসার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই সংঘবদ্ধ ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
এঘটনায় কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো ডাকাতকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ডাককাতিতে জড়িতদের সনাক্ত করতে না পারায় ভূক্তভোগী পরিবার ও গ্রামবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক এবং খোবের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে আতঙ্কের কথা তুলে ধরেন ভূক্তভোগী ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটিডের শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া শাখার কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফারজানা সুলতানা,মা হালিমা বেগম,তার ভাই সোহরাব কবিরাজ,ভারাটিয়া ইব্রাহিম ,আল আমিন,ঝর্ণা বেগম সহ এলাকাবাসী।
জানাযায়,ঘরের পেছনের গাছ দিয়ে ছাদে উঠে ছাদ থেকে নিচে আসতে ছাদের টিনের দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে রুমের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে প্রথমেই শিশু আবিদ ইসলামের গলায় চাপাটি ঠেকিয়ে সবাইকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুটে নেয় ডাকাত দল। এতে ডাকাতদের বাধা দিলে ইব্রাহিম মিয়া(৩০) ও হালিমা বেগম(৮০)কে পিটিয়ে আহত করে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম,সোহরাব কবিরাজ ও ফারজানা সুলতানা বলেন, আমরা ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা দিতে গেলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ আমাদের অভিযোগ নেয়নি।
তারা আরো বলেন, আমাদের ঘরে ডাকাতরা ডাকাতি করার সমায়ের দৃশ্য আমাদের বাসার সিসিটিভির ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে এবং সিসিটিভির ফুটেজ আমরা পুলিশকে দিয়েছি। তার পরে ও পুলিশের কোন অগ্রগতি নেই। এখন আমরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতঙ্কে আছি।
এবিষয়ে ডাসার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এস.এম শফিকুল ইসলাম বলেন,ঘটনার পর থেকেই জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আর গ্রামবাসী যাতে আতঙ্কিত না হয় তার জন্য পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।