ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তার নদীর পানি বিপদসীমা ৪১ সে.মি উপরে

এ আর রাকিবুল হাসান কুড়িগ্রাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩ ১২৬ বার পড়া হয়েছে
সময়কাল এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
২৬ শে আগস্ট কুড়িগ্রামে তিস্তার নদীর পানি বিপদসীমার ৪১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এছাড়া ব্রহ্মপুত্র,দুধকুমার, ধরলাসহ অনান্য নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী মানুষজন বন্যার আতঙ্কে রয়েছে।তবে পাউবো বলছে এ অবস্থায় স্বল্প মেয়াদি বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে,কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্রে নদের নুনখাওয়া পয়েন্টের পানি বিপদ সীমার ৭২ সে.মি নীচে,চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৫৮ সে.মি নিচে,কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৭ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৪১ সে.মি উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।এ অবস্থায় জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ,নয়ারহাট,সাহেবের আলগাসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বল্প মেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তিস্তার গড়াইপিয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ নুর আলম বলেন, ২-৩ দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে,ধান ক্ষেত নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তায় আছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে। তিস্তা পাড়ের মানুষের বারোমাসেই কষ্ট,কেউ দেখে না। খিতাব খাঁ গ্রামে সুরমান আলী বলেন, দিন রাতে সমানে বৃষ্টি হচ্ছে তিস্তার পানি বাড়ছে।গরু ছাগল নিয়ে ফের হামারগুলার ভোগান্তি শুরু হইল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারি বৃষ্টির কারণে উজানের ঢল ও স্থানীয় বৃষ্টিপাতে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। ফলে জেলার সদরের কিছু অংশ, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। পানি বিপৎসীমায় পৌঁছালেও খুব বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি। খাদ্য সহায়তা, উদ্ধার নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্র সহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

তিস্তার নদীর পানি বিপদসীমা ৪১ সে.মি উপরে

আপডেট সময় : ০৭:৫১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
২৬ শে আগস্ট কুড়িগ্রামে তিস্তার নদীর পানি বিপদসীমার ৪১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এছাড়া ব্রহ্মপুত্র,দুধকুমার, ধরলাসহ অনান্য নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী মানুষজন বন্যার আতঙ্কে রয়েছে।তবে পাউবো বলছে এ অবস্থায় স্বল্প মেয়াদি বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে,কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্রে নদের নুনখাওয়া পয়েন্টের পানি বিপদ সীমার ৭২ সে.মি নীচে,চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৫৮ সে.মি নিচে,কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৭ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৪১ সে.মি উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।এ অবস্থায় জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ,নয়ারহাট,সাহেবের আলগাসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বল্প মেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তিস্তার গড়াইপিয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ নুর আলম বলেন, ২-৩ দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে,ধান ক্ষেত নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তায় আছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে। তিস্তা পাড়ের মানুষের বারোমাসেই কষ্ট,কেউ দেখে না। খিতাব খাঁ গ্রামে সুরমান আলী বলেন, দিন রাতে সমানে বৃষ্টি হচ্ছে তিস্তার পানি বাড়ছে।গরু ছাগল নিয়ে ফের হামারগুলার ভোগান্তি শুরু হইল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারি বৃষ্টির কারণে উজানের ঢল ও স্থানীয় বৃষ্টিপাতে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। ফলে জেলার সদরের কিছু অংশ, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। পানি বিপৎসীমায় পৌঁছালেও খুব বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি। খাদ্য সহায়তা, উদ্ধার নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্র সহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।