ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক পেটালেনর অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
- আপডেট সময় : ১০:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪ ৭২ বার পড়া হয়েছে
মাদারীপুরের ডাসারে মাসুম বিল্লাহ (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ধ্বজী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত মাসুম বিল্লাহকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , সকালে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক তার বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে প্রথমে চর থাপ্পর দেয় মাসুম বিল্লাহকে। পরে তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ সময় তার নেতৃত্বে ওই এলাকার মৃত কালাম মাতুব্বরের ছেলে মুজাম্মেল মাতুব্বর (৫৫), মোজাম্মেলের ছেলে সাকিব মাতুব্বর (২২) ও সাহে আলম মাতুব্বর (৭০)-সহ আরও অনেকেই মাসুম বিল্লাহ ও তার বাবাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। পরে তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, আমার চাচা শাহআলম মাতুব্বরের সঙ্গে বাড়ির জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এক বছর আগে সালিশ মীমাংসা করে দিয়েছিলেন মীর ফারুক। আজকে বাড়ির জায়গায় কাজ করতে গেলে। আমার চাচার পক্ষ নিয়ে ফারুক মীর আমাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করে বাড়িতে ঝামেলার জায়গায় কাজ করো। আমি বলেছি হ্যাঁ, বাড়িতে কাজ করি। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ফারুক মীর বেধম চরথাপ্পড় মারে। এরপর তার পক্ষের লোকজন আমাকে বেধড়ক কুপিয়ে আহত করে। এতে আমার মাথায় ৮টি সেলাই লেগেছে। এ ছাড়া আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা নিয়ে যায়। আমি এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।
মাসুম বিল্লাহর বাবা মাওলানা জানে আলম মাতুব্বর জানান, আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক ও তার লোকজন মিলে মারধর করে জখম করে ও বাড়িতে হামলা চালায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
কালকিনি উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক বলেন, ওরা নিজেরা নিজেরা ভাই ভাই মারামারি করছে। এসব নিউজ করার দরকার নাই ছোট খাটো বিষয়। ওদের একটি জায়গা নিয়ে সালিশ করে দিয়েছি। অনেক গণ্যমাণ্য ব্যক্তি ছিলেন। সে সালিশ ওরা মানে না। কাউরে মানে না। ওরা একটা ফালতু, ওরা রাজাকার। ওরা গণপিটুনি খেয়েছে। ওদের কঠিন বিচার হওয়া উচিত।
এবিষয়ে ডাসার থানার ওসি এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।