ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘণে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে সংবাদ সম্মেলন

মাদারীপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪ ১১০ বার পড়া হয়েছে
সময়কাল এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মদারীপুর সদর উপজেলার নির্বাচন ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উক্ত নির্বাচনে নির্বাচনী কর্মীদের উপর প্রতিপক্ষ প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘণ সম্পর্কে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী আসিবুর রহমান খান আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এ মাদারীপুর সদর উপজেলার একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি বলেন আমার নির্বাচনী প্রতীক আনারস মার্কা নিয়ে উক্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করছি।

আমার প্রতিদ্বন্ধী মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক ও তার ভাই বজলুর রহমান খান মন্টু, ভাতিজা রুবেল খান, ভাগীনা মন্তফা কামালী ও তার সহকর্মীরা বিভিন্ন সভা সমাবেশে আমার দাদা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, মাদারীপুর মহাকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক সংসদ সদস্য, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আছমত আলী খান ও আমার পিতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসন থেকে ৮ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট, আশালিন, সম্মানহানিকর ও শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। যার ফলে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। তারা তাদের বক্তব্যে সর্বদা হুমকি দিয়ে মানুষকে ভীত সন্ত্রাস্ত্র করছে।

শফিক খানের সমর্থকরা আমার সভা সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, আমার নেতা কর্মীদের এবং হিন্দু ভোটারদের ভয় ভীতি প্রদর্শন, টাকার প্রলোভেন, এমনকি আমাদের কর্মীদের শারীরিক নির্যাতন ও কোপানো হয়েছে। পোষ্টার ছেড়া, সুতলি দিয়ে টানানো পোষ্টারের সুতা ছিড়ে পোষ্টার ফেলে দেয়া এবং দুইজন সরকারি কর্মচারী শফিক খানের মোটর সাইকেল প্রতিকের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেয়া ইত্যাদি। তারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘণ করে চলেছে।

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার পর ০৪-০৩-২০২৪ খ্রিঃ তারিখে মাদারীপুর ধুরাইল ইউনিয়নে সভা আহ্বান করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাজাহান মাতুব্বরের সভাপত্তিত্ব করার কথা। সভা অনুষ্ঠানের পূর্ব রাতে ০৩-০৩-২০২৪ খ্রিঃ তারিখ ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান তার একদল সন্ত্রাসী পাঠিয়ে শাজাহান মাতুব্বর-কে সভায় অনুপস্থিত থাকতে বলে। অন্যথায় তাকে বাড়িঘর থেকে বিতারিত করার হুমকি প্রদান করে। এ সময় শাজাহান মাতৃবার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে সভায় অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য হন। এছাড়াও হাবিবুর রহমানের সন্ত্রাসীরা এলাকার সাধারণ জনগনকে সভায় অনুপস্থিত থাকার জন্য হুমকি প্রদান করেন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ধুরাইল আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব হাওলাদার থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তিনি আরো জানান চেয়ারম্যান এলাকার হিন্দুদের আনারসে ভোট না দেয়ার নির্দেশ দেন। তাদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে।

ঐ দিনই ছিলারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌফিক আকন অসংখ্য মানুষের সম্মুখ্যে প্রকাশ্যে ঘোষনা করেন, আনারস মার্কার প্রার্থীর পক্ষে যারা কাজ করবে ‘তাদের সবাইকে কোপানো হবে। তার এই ঘোষনায় জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। সে তার লাইসেন্স করা বন্দুক ও পিছল অবৈধভাবে ২ জন গান-ম্যানের মাধ্যমে বহন করেন। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করায় জনমনে ভীতিসঞ্চার হচ্ছেগত ২৮/০৪/২০২৪খ্রি: তারিখ আমার খালা টিউলিপ আক্তার বিথি, মামি সঞ্চিতা আক্তার মিতু ও ছিলারচর ইউনিয়নে ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মেধার লাইজু আক্তার, আমার নির্বাচনী গাড়ী নিয়ে ছিলারচর ইউনিয়নে নির্বাচনী কাজে যান। গাড়ীটি কালিতলা ব্রীজের মোড়ে গেলে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিক আকন গাড়ীর গতিরোধ করে। গাড়ী থামালে চেয়ারম্যান নিজেই গাড়ীতে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে থাকে এবং তার সাথে থাকা লোকদের গাড়ি ভাংচুর করতে বলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তার ‘গানম্যান’ বলে পরিচিত একজনের হাতে থাকা পিজ্বল উচিয়ে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলায় কর্মরত উপ-সহকারী মোঃ হেমায়েত হোসেন মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শফিক খানের পক্ষে প্রচার কাজে অংশগ্রহণ করছে। তার সাথে বিভিন্ন সমাবেশ করছে এবং তার নিজ নামের ফেইসবুকে স্টেটাস দিচ্ছে।

একইভাবে শরীয়তপুরে কর্মরত সমাজ সেবা অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক বিশ্বজিৎ বৈদ্য সরকারি গাড়িযোগে মাদারীপুর সদর উপজেলায় তার নিজ বাড়ি কেন্দুয়া বিভিন্নস্থানে নির্বাচনী সভা সমাবেশে যোগ দিচ্ছে। যা আচরণবিধি লংঘন।

মাদারীপুর পৌর সভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে শফিক খানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে অংশ নিচ্ছে এটাও আচরণ বিধি লংঘন।

কেন্দুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমার কর্মী মানিক ও তার সহযোগীকে আক্রমন ও রক্তাক্ত জখম করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আমার প্রতি পক্ষ প্রার্থী নানাভাবে আচরণবিধি লংঘন করেও নির্বাচনে পরাজয় ঠৈকাতে পারবে না এটা নিশ্চিত জেনে এখন যড়যন্ত্র করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে বলে আশংকা করছি।

উল্লেখ্য যে, শফিক খান ও তার ভাতিজা রুবেল খান ১৯৯৭ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ আলীকে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। মাদারীপুরে বিভিন্নস্থানে মারামারি সন্ত্রাস এগুলো তার জীবনে বিশেষ একটি দিক। আমরা বিশেষ সূত্রে সংবাদ পেয়েছি এই নির্বাচনে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এই নির্বাচন ভন্ডুল করার পরিকল্পনা করেছে। মাদারীপুরের জনগণ যে কোন মূল্যে তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিহত করবে।এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এজাজুর রহমান আকনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ আলী জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে অবশ্যই আমরা সেটা দেখবো। আর এখন পর্যন্ত যা আসছে তা আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মাদারীপুরে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘণে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ১১:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

মদারীপুর সদর উপজেলার নির্বাচন ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উক্ত নির্বাচনে নির্বাচনী কর্মীদের উপর প্রতিপক্ষ প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘণ সম্পর্কে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী আসিবুর রহমান খান আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এ মাদারীপুর সদর উপজেলার একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি বলেন আমার নির্বাচনী প্রতীক আনারস মার্কা নিয়ে উক্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করছি।

আমার প্রতিদ্বন্ধী মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক ও তার ভাই বজলুর রহমান খান মন্টু, ভাতিজা রুবেল খান, ভাগীনা মন্তফা কামালী ও তার সহকর্মীরা বিভিন্ন সভা সমাবেশে আমার দাদা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, মাদারীপুর মহাকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক সংসদ সদস্য, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আছমত আলী খান ও আমার পিতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসন থেকে ৮ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট, আশালিন, সম্মানহানিকর ও শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। যার ফলে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। তারা তাদের বক্তব্যে সর্বদা হুমকি দিয়ে মানুষকে ভীত সন্ত্রাস্ত্র করছে।

শফিক খানের সমর্থকরা আমার সভা সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, আমার নেতা কর্মীদের এবং হিন্দু ভোটারদের ভয় ভীতি প্রদর্শন, টাকার প্রলোভেন, এমনকি আমাদের কর্মীদের শারীরিক নির্যাতন ও কোপানো হয়েছে। পোষ্টার ছেড়া, সুতলি দিয়ে টানানো পোষ্টারের সুতা ছিড়ে পোষ্টার ফেলে দেয়া এবং দুইজন সরকারি কর্মচারী শফিক খানের মোটর সাইকেল প্রতিকের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেয়া ইত্যাদি। তারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘণ করে চলেছে।

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার পর ০৪-০৩-২০২৪ খ্রিঃ তারিখে মাদারীপুর ধুরাইল ইউনিয়নে সভা আহ্বান করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাজাহান মাতুব্বরের সভাপত্তিত্ব করার কথা। সভা অনুষ্ঠানের পূর্ব রাতে ০৩-০৩-২০২৪ খ্রিঃ তারিখ ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান তার একদল সন্ত্রাসী পাঠিয়ে শাজাহান মাতুব্বর-কে সভায় অনুপস্থিত থাকতে বলে। অন্যথায় তাকে বাড়িঘর থেকে বিতারিত করার হুমকি প্রদান করে। এ সময় শাজাহান মাতৃবার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে সভায় অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য হন। এছাড়াও হাবিবুর রহমানের সন্ত্রাসীরা এলাকার সাধারণ জনগনকে সভায় অনুপস্থিত থাকার জন্য হুমকি প্রদান করেন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ধুরাইল আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব হাওলাদার থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তিনি আরো জানান চেয়ারম্যান এলাকার হিন্দুদের আনারসে ভোট না দেয়ার নির্দেশ দেন। তাদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে।

ঐ দিনই ছিলারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌফিক আকন অসংখ্য মানুষের সম্মুখ্যে প্রকাশ্যে ঘোষনা করেন, আনারস মার্কার প্রার্থীর পক্ষে যারা কাজ করবে ‘তাদের সবাইকে কোপানো হবে। তার এই ঘোষনায় জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। সে তার লাইসেন্স করা বন্দুক ও পিছল অবৈধভাবে ২ জন গান-ম্যানের মাধ্যমে বহন করেন। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করায় জনমনে ভীতিসঞ্চার হচ্ছেগত ২৮/০৪/২০২৪খ্রি: তারিখ আমার খালা টিউলিপ আক্তার বিথি, মামি সঞ্চিতা আক্তার মিতু ও ছিলারচর ইউনিয়নে ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মেধার লাইজু আক্তার, আমার নির্বাচনী গাড়ী নিয়ে ছিলারচর ইউনিয়নে নির্বাচনী কাজে যান। গাড়ীটি কালিতলা ব্রীজের মোড়ে গেলে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিক আকন গাড়ীর গতিরোধ করে। গাড়ী থামালে চেয়ারম্যান নিজেই গাড়ীতে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে থাকে এবং তার সাথে থাকা লোকদের গাড়ি ভাংচুর করতে বলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তার ‘গানম্যান’ বলে পরিচিত একজনের হাতে থাকা পিজ্বল উচিয়ে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলায় কর্মরত উপ-সহকারী মোঃ হেমায়েত হোসেন মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শফিক খানের পক্ষে প্রচার কাজে অংশগ্রহণ করছে। তার সাথে বিভিন্ন সমাবেশ করছে এবং তার নিজ নামের ফেইসবুকে স্টেটাস দিচ্ছে।

একইভাবে শরীয়তপুরে কর্মরত সমাজ সেবা অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক বিশ্বজিৎ বৈদ্য সরকারি গাড়িযোগে মাদারীপুর সদর উপজেলায় তার নিজ বাড়ি কেন্দুয়া বিভিন্নস্থানে নির্বাচনী সভা সমাবেশে যোগ দিচ্ছে। যা আচরণবিধি লংঘন।

মাদারীপুর পৌর সভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে শফিক খানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে অংশ নিচ্ছে এটাও আচরণ বিধি লংঘন।

কেন্দুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমার কর্মী মানিক ও তার সহযোগীকে আক্রমন ও রক্তাক্ত জখম করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আমার প্রতি পক্ষ প্রার্থী নানাভাবে আচরণবিধি লংঘন করেও নির্বাচনে পরাজয় ঠৈকাতে পারবে না এটা নিশ্চিত জেনে এখন যড়যন্ত্র করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে বলে আশংকা করছি।

উল্লেখ্য যে, শফিক খান ও তার ভাতিজা রুবেল খান ১৯৯৭ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ আলীকে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। মাদারীপুরে বিভিন্নস্থানে মারামারি সন্ত্রাস এগুলো তার জীবনে বিশেষ একটি দিক। আমরা বিশেষ সূত্রে সংবাদ পেয়েছি এই নির্বাচনে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এই নির্বাচন ভন্ডুল করার পরিকল্পনা করেছে। মাদারীপুরের জনগণ যে কোন মূল্যে তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিহত করবে।এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এজাজুর রহমান আকনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ আলী জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে অবশ্যই আমরা সেটা দেখবো। আর এখন পর্যন্ত যা আসছে তা আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।