ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংরক্ষিত নারী আসন-১৯ এ মনোনয়ন প্রত্যাশী নারী নেত্রী কাজী রুহিয়া বেগম হাসি

পিরোজপুর প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৭১ বার পড়া হয়েছে
সময়কাল এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পিরোজপুরের রাজনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ নারীনেত্রী কাজী রুহিয়া বেগম হাসি । বেশ সময়কাল ধরে তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে নারীর অধিকার সুরক্ষা ও সমাজসেবায় নিবেদিত হয়ে কাজ করছেন। সরকারের বিভিন্ন দৃশ্যমান উন্নয়নমূলক কাজ সাধারণ জনসাধারণের মাঝে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন।
এবার তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পিরোজপুর-১ আসনের (সংরক্ষিত নারী আসন-১৯) এ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হিসেবে আওয়ামীলীগের মনোয়ন প্রত্যাশী। তার আশা জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অবহেলিত পিরোজপুরসহ উপকূলীয় এলাকার জনমানুষের উন্নয়নে কাজকরতে পারবেন ।
কাজী রুহিয়া বেগম হাসি তার নিজের গড়া সামাজিক ও মানবিক প্রতিষ্ঠান ‘‘শ্যামক’ নিয়ে পিরোজপুরে তৃণমূলের নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করছেন টনা ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে। এই কাজে তার সাফল্য রয়েছে অনেক।

কাজী রুহিয়া বেগম হাসি নির্যাতিত নারীদের পক্ষে আইনগত সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি সুুবিধাবঞ্চিত নারীরদের স্বামলম্বী হিসেবে গড়ে তুলে নানা সহযোগিতা করে আসছেন।
ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়ার পর থেকে আজ অবধি সক্রিয়ভাবে দলীয় কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করে আসছেন। সে বর্তমানে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড সক্রিয় রয়েছেন।
এছাড়া কাউখালী মহিলা ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, শির্ষা আছিয়া খাতুন মাধ্যমিক স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য, পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, দেশদশ আর্থসামাজিক ও মানব উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নির্বাহী সদস্য সচিব, অরুনোদয় মহিলা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি পিরোজপুর জেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
নারী নেত্রী রুহিয়া বেগম হাসি বলেন, আমার নিজের চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। আমি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। আগামী দিনগুলোতেও আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। সকল রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আমি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছি। আমার বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সংরক্ষিত নারী আসন-১৯ পিরোজপুর এ আমাকে এবার মনোয়ন দিতে বিবেচনা করবেন।
আমি প্রধামন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চাই।

পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, কাজী রুহিয়া বেগম হাসির জন্ম ১৯৫৪ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে নানা বাড়িতে। তাঁর বাবা কাজী আব্দুল করীম, মা হালিমা খাতুন। বাবা ছিলেন আইনজীবী ও শিক্ষক। মা গৃহিণী হলেও নীরবে সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।
তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় তিনি। যখন চট্টগ্রামের কুসুম কুমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তখন তাঁর বাবা সেখানে একটি কলেজের শিক্ষকতা করেছেন। হঠাৎই তাঁদের সংসারে অন্ধকার নেমে আসে। বাবা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরিবারে আর উপার্জনকারী ব্যক্তি না থাকায় সন্তানদের নিয়ে মা চলে আসেন পুরনো বাসস্থল কাউখালী উপজেলার শির্ষ্যা গ্রামে। সেখানে একটি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন হাসি। সংসারের বড় মেয়ে হওয়ায় তাঁকে লড়তে হয় নানা বৈরী পরিস্থিতির সঙ্গে। তখন যাতায়াতব্যবস্থা ভালো ছিল না। মাইলের পর মাইল হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হতো।
শির্ষ্যা মডেল প্রাইমারি স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় তৎকালীন যশোর বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন তিনি। পরে ষষ্ঠ শ্রেণিতে কাউখালী মাইনর স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু তত দিনে অনেকের নজর পড়েছে এই অসহায় পরিবার আর সদ্য বেড়ে ওঠা মেয়েটির ওপর। লোকজনের কানাকানি শুনে হাসিকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াবস্থায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মেরিন প্রকৌশল বিভাগে কর্মরত একই গ্রামের কাজী আব্দুল লতিফের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন মা। বিয়ের পর তিন বছর তাঁর পড়াশোনা বন্ধ থাকে। পরে পিরোজপুরে মায়ের কাছে এসে পড়াশোনা শুরু করেন। অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার শেষ দিনে তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম। তিনি ১৯৬৯ সালে মেট্রিক পাস করেন। পরে সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বড় ছেলের চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণকালে হাটহাজারী কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী হাসি শৈশব থেকেই স্বাধীনচেতা। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। সেই লক্ষ্যেই তৎকালীন পিরোজপুর মহাকুমার নেতা এনায়েত হোসেন খানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। পাকিস্তানে অবস্থানরত চাকরিজীবী আত্মীয়-স্বজনরা বার্তা দিয়েছিলেন নৌকার পক্ষে কাজ করতে। ১৯৭০-এর নির্বাচনে তিনি নৌকার পক্ষে কাজ করতে শুরু করেন।
তখন তিনি পিরোজপুর, বরিশাল অঞ্চলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সান্নিধ্যে রাজনীতির সুযোগ পান। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানের সঙ্গেও ছিল কাউখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কাজী রুহিয়া বেগম হাসি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এরই মধ্যে তাঁর কোলজুড়ে আসে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ছেলে-মেয়েদের তিনি মানুষের মতো মানুষ করেছেন। তাঁরা দেশ-বিদেশে বড় বড় পদে কর্মরত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সংরক্ষিত নারী আসন-১৯ এ মনোনয়ন প্রত্যাশী নারী নেত্রী কাজী রুহিয়া বেগম হাসি

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পিরোজপুরের রাজনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ নারীনেত্রী কাজী রুহিয়া বেগম হাসি । বেশ সময়কাল ধরে তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে নারীর অধিকার সুরক্ষা ও সমাজসেবায় নিবেদিত হয়ে কাজ করছেন। সরকারের বিভিন্ন দৃশ্যমান উন্নয়নমূলক কাজ সাধারণ জনসাধারণের মাঝে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন।
এবার তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পিরোজপুর-১ আসনের (সংরক্ষিত নারী আসন-১৯) এ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হিসেবে আওয়ামীলীগের মনোয়ন প্রত্যাশী। তার আশা জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অবহেলিত পিরোজপুরসহ উপকূলীয় এলাকার জনমানুষের উন্নয়নে কাজকরতে পারবেন ।
কাজী রুহিয়া বেগম হাসি তার নিজের গড়া সামাজিক ও মানবিক প্রতিষ্ঠান ‘‘শ্যামক’ নিয়ে পিরোজপুরে তৃণমূলের নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করছেন টনা ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে। এই কাজে তার সাফল্য রয়েছে অনেক।

কাজী রুহিয়া বেগম হাসি নির্যাতিত নারীদের পক্ষে আইনগত সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি সুুবিধাবঞ্চিত নারীরদের স্বামলম্বী হিসেবে গড়ে তুলে নানা সহযোগিতা করে আসছেন।
ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়ার পর থেকে আজ অবধি সক্রিয়ভাবে দলীয় কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করে আসছেন। সে বর্তমানে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড সক্রিয় রয়েছেন।
এছাড়া কাউখালী মহিলা ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, শির্ষা আছিয়া খাতুন মাধ্যমিক স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য, পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, দেশদশ আর্থসামাজিক ও মানব উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নির্বাহী সদস্য সচিব, অরুনোদয় মহিলা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি পিরোজপুর জেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
নারী নেত্রী রুহিয়া বেগম হাসি বলেন, আমার নিজের চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। আমি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। আগামী দিনগুলোতেও আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। সকল রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আমি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছি। আমার বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সংরক্ষিত নারী আসন-১৯ পিরোজপুর এ আমাকে এবার মনোয়ন দিতে বিবেচনা করবেন।
আমি প্রধামন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চাই।

পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, কাজী রুহিয়া বেগম হাসির জন্ম ১৯৫৪ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে নানা বাড়িতে। তাঁর বাবা কাজী আব্দুল করীম, মা হালিমা খাতুন। বাবা ছিলেন আইনজীবী ও শিক্ষক। মা গৃহিণী হলেও নীরবে সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।
তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় তিনি। যখন চট্টগ্রামের কুসুম কুমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তখন তাঁর বাবা সেখানে একটি কলেজের শিক্ষকতা করেছেন। হঠাৎই তাঁদের সংসারে অন্ধকার নেমে আসে। বাবা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরিবারে আর উপার্জনকারী ব্যক্তি না থাকায় সন্তানদের নিয়ে মা চলে আসেন পুরনো বাসস্থল কাউখালী উপজেলার শির্ষ্যা গ্রামে। সেখানে একটি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন হাসি। সংসারের বড় মেয়ে হওয়ায় তাঁকে লড়তে হয় নানা বৈরী পরিস্থিতির সঙ্গে। তখন যাতায়াতব্যবস্থা ভালো ছিল না। মাইলের পর মাইল হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হতো।
শির্ষ্যা মডেল প্রাইমারি স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় তৎকালীন যশোর বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন তিনি। পরে ষষ্ঠ শ্রেণিতে কাউখালী মাইনর স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু তত দিনে অনেকের নজর পড়েছে এই অসহায় পরিবার আর সদ্য বেড়ে ওঠা মেয়েটির ওপর। লোকজনের কানাকানি শুনে হাসিকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াবস্থায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মেরিন প্রকৌশল বিভাগে কর্মরত একই গ্রামের কাজী আব্দুল লতিফের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন মা। বিয়ের পর তিন বছর তাঁর পড়াশোনা বন্ধ থাকে। পরে পিরোজপুরে মায়ের কাছে এসে পড়াশোনা শুরু করেন। অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার শেষ দিনে তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম। তিনি ১৯৬৯ সালে মেট্রিক পাস করেন। পরে সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বড় ছেলের চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণকালে হাটহাজারী কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী হাসি শৈশব থেকেই স্বাধীনচেতা। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। সেই লক্ষ্যেই তৎকালীন পিরোজপুর মহাকুমার নেতা এনায়েত হোসেন খানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। পাকিস্তানে অবস্থানরত চাকরিজীবী আত্মীয়-স্বজনরা বার্তা দিয়েছিলেন নৌকার পক্ষে কাজ করতে। ১৯৭০-এর নির্বাচনে তিনি নৌকার পক্ষে কাজ করতে শুরু করেন।
তখন তিনি পিরোজপুর, বরিশাল অঞ্চলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সান্নিধ্যে রাজনীতির সুযোগ পান। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানের সঙ্গেও ছিল কাউখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কাজী রুহিয়া বেগম হাসি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এরই মধ্যে তাঁর কোলজুড়ে আসে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ছেলে-মেয়েদের তিনি মানুষের মতো মানুষ করেছেন। তাঁরা দেশ-বিদেশে বড় বড় পদে কর্মরত।