ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মিথ্যা নারী কেলেঙ্কারিতে জামানত বাজেয়াপ্তসহ চাকরি থেকে অপসারণের অভিযোগ।।
- আপডেট সময় : ১০:৫৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কুমিল্লা ৩ আওতাধীন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জোনাল অফিসের ছয়ফুল্লাহকান্দি ইউনিয়নের ভেলানগর গ্রামে বিল বিতরণ করার সময় মিথ্যা নারী কেলেঙ্কারিতে জামানত বাজেয়াপ্তসহ চাকরি থেকে অপসারণ করা হয় মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) মোঃ আব্দুল হালিমকে।
অপসারণ পত্রে উল্লেখ করা হয় ঘটনার দিন আনুমানিক বিকেল পাঁচটার দিকে গ্রাহক নাহিদা আক্তারের প্রতিবন্ধী মেয়ের (বয়স আনুমানিক ২৮ বছর) সাথে আপনাকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায়। বর্ণিত প্রতিবন্ধী মেয়ের সাথে আপনার অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য আপনাকে ব্যাপক মারধর করে অবসারণপত্রে উল্লেখ ছিল।
এবং আরও উল্লেখ থাকে বাঞ্ছারামপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম এর নিকট বিষয়টি স্বীকার করেন এবং পায়ে ধরে তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে বর্ণিত ঘটনার জন্য অনুতপ্ত হন।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, অপসারণ পত্রে উল্লেখ করা বিষয়ের সাথে সেদিনের কোন ঘটনার মিল নেই। উল্লেখিত নাহিদা আক্তারের নিজের বয়সই এখনো ২৮ হয়নি এবং তার প্রতিবন্ধী কোন মেয়ে নেই। তার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় যে ঘটনা উল্লেখ রয়েছে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এই বিষয়ে উল্লেখিত নাহিদা বেগম ভিডিও বক্তব্যে বলেন, আমার সাথে হালিম স্যারের কোন ঘটনা ঘটেনি আমাকে রাস্তার উপরে কাগজ দিয়ে চলে গেছেন। বক্তব্যে নাহিদার মা মায়া বেগম বলেন আমার মেয়ে নাহিদা একটু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিন্তু সেদিন আমার মেয়ের সাথে কোন ঝামেলা হয়নি। আমরা কিছুদিন পর জানতে পারি আমার মেয়ের কারনে নাকি চাকরি চলে গেছে হালিম স্যারের আসলেই এমন কোন ঘটনা আমাদের এখানে ঘটেনি। আমরা হালিম স্যারের এই দুঃসংবাদ এর খবর শুনে আমি ও আমার মেয়ে নাহিদা এবং আমার আশেপাশের লোকজন লিখিত বক্তব্য নিয়ে ডিজিএম স্যারের কাছে গেলে তিনি আমাদের আবেদন জমা না নিয়ে কোন গুরুত্ব দেন নাই।
এ সম্পর্কে পাশের বাসার আনোয়ারা বেগম, খাদিজা বেগম, বেবী আক্তার, আইয়ুব আলী, জয়নব আলী, আলম মিয়া, মদন মিয়া বলেন আমাদের এলাকায় এমন কোন ঘটনা ঘটেনি মিথ্যা কথা বলে হালিম স্যারের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন। আমরা এমন নেক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং হালিম স্যারের চাকরি ফিরিয়ে দিতে তার স্যারদের কাছে আবেদন জানাই।
মূলত উল্লেখিত বিষয়গুলো ডিজিএম এর কাছে মোঃ আব্দুল হালিম অনেকবার বলার চেষ্টা করলেও ডিজিএম তার কথা শোনার চেষ্টা না করে হাঁসি ঠাট্টা করে তার হাতে অপসারণের কাগজ ধরিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে উল্লেখিত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ ডিজিএম এর কাছে বল্লেও তিনি তাদের কথার কোন মূল্যায়ন করেনি। আমি মোঃ হালিম ডিজিএম স্যারকে একাধিকবার এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট এমন কথা বলতে বহুবার আমার স্ত্রী সহ তার অফিসে এবং বাসায়ও গিয়েছি কিন্তু তিনি কোন মূল্যায়ন না করে শুধু হাঁসি ঠাট্টায় এড়িয়ে যেতেন। পরে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ ৩ এর সমিতির সভাপতির কাছে লিখিত ভাবে জানালে তিনি সব কিছু শুনে ডিজিএম এর কাছে ফোন করেন কিন্তু তার কথার ও কোন মূল্যায়ন করেননি।
উল্লেখিত অব্যাহতি পত্রে আরও উল্লেখ করেন যে নিয়োগ পত্রের ১১নং শর্ত ভঙ্গ করেছেন মোঃ আঃ হালিম। আসলেই ১১নং শর্তে উল্লেখ করা হয় প্রথম পক্ষ শৃঙ্খলা জনিত কারণে (কর্তব্য কাজে বা দায়িত্ব পালনে গাফিলতি/অবহেলা, দুর্নীতি ইত্যাদি) দ্বিতীয় পক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করতে পারবেন এবং কারন দর্শানো নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে ১ম পক্ষ এই চুক্তি বাতিল করে দ্বিতীয় পক্ষের জামানত বাজেয়াপ্ত করণসহ দ্বিতীয় পক্ষের চাকরির অবসান ঘটাতে পারবেন। কিন্তু তিনি সেই তদন্ত বা নোটিশ কোনটিই করেননি।
পরবর্তীতে আমি জিএম স্যারের কাছে গিয়ে ১ম সারাদিন অপেক্ষা করে স্যারের সাথে কথা বলতে পারিনি পরে চলে এসে দ্বিতীয় দিন আবার গিয়ে জিএম স্যারের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত করার জন্য একটি আবেদন জমা দেই দুঃখের বিষয় আবেদন রিসিভ করেননি পরবর্তীতে এডমিন জিএস এর হাতে তার কথামতো আবেদন দিয়ে আসি সেই আবেদনেরও কোন সদুত্তর এখনো না পেয়ে দিন যায় আমার হতাশা বাড়তে থাকে পরে নিরুপায় হয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের বরাবর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য ঘটনা উদঘাটন করার জন্য একটি লিখিত আবেদন করি। আমি চাকরি থেকে দূরে থাকায় আমার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চরম হতাশায় ভেঙে পড়ে দিনযাপন করছি। আমি জিএম ও ডিজিএম এর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি তারা সঠিক তথ্য উপাত্ত জেনে নিয়ে আমাকে তাদের সাথে কাজ করার সুযোগ করে দিবেন বলে আশা করছি।







