ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বরূপকাঠীতে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি, উভয়পক্ষকে সতর্কীকরণ নোটিশ

পিরোজপুর প্রতিনিধ।।
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩ ২৩৯ বার পড়া হয়েছে
সময়কাল এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীতে পৌর মেয়র গোলাম কবির ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আউয়ালের বিরুদ্ধে কাঠমহলের ইজারা নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে নেছারাবাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন একই উপজেলার স্বরূপকাঠী পৌরসভার বাসিন্দা মো. আবদুর রহিম।

ইজারাদার ও অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মেসার্স তিশা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর এ.কে আজাদ ও আদায়কারী এবং অংশীদার মো. আবদুর রহিম ও আরেক অংশীদার মো. নাসির উদ্দীন গত ২৮/০৮/২০২৩ইং তারিখ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পিরোজপুর হতে কাঠমহলের ইজারাপ্রাপ্ত হয়।

উক্ত ইজারা পাওয়ার পর থেকেই আবদুর রহিম ইজারা আদায় করে আসছিলেন। বিবাদীরা ইজারা আদায় করতে নিষেধ করেন। সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, ২ অক্টোবর সোমবার বেলা ১১.৪৫ ঘটিকার সময় অভিযোগকারী আবদুর রহিম স্বরূপকাঠী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে কাঠমহল হইতে ইজারা উত্তোলন করছিলেন।
তখন উক্ত বিবাদীদ্বয় ঘটনাস্থলে এসে বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তখন বাদী গালিগালাজ করিতে নিষেধ করলে বিবাদীদ্বয় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। উল্লেখ থাকে যে, অতীতেও কাউন্সিলরগণ তিশা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর এ.কে আজাদকে ইজারা আদায় করতে নিষেধ করেন এবং কাউন্সিলরগণ ৮ এবং ৩ দাগের ইজারা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দেন।

অতপর ইজারাদার এ.কে আজাদ উক্ত স্থানের কাঠব্যবসায়ীগণের সম্মুখে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছ থেকে বৈধভাবে ইজারা নিয়েছি। আপনাদের যদি কোন কথা থাকে আপনারা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে অভিযোগ করেন। উক্ত ইজারা সম্পত্তির মধ্যে যদি আপনাদের ৮ এবং ৩ দাগের সম্পত্তি হয়ে থাকে আপনারা সীমানা নির্ধারণ করে দেন। আমি ইজারাদার হয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করবো। তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, আমরা কোন বিবাদে যেতে চাইনা।

ইজারাদার এ.কে আজাদ আরো বলেন, পরবর্তীতে আমার ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা চলে যাওয়ার পরে আমার অনুপস্থিতিতে ১ম শ্রেণির পৌরসভার একজন মেয়র হয়ে আমার সাথে কোন আলাপ না করে আমার আদায়কারী অংশীদারকে লাঞ্চিত করেছে এটা দুঃখজনক।

সাধারণ ডায়েরি অনুসারে, আবদুর রহিমকে লাঞ্চিতের ঘটনায় তখন উপস্থিত সাক্ষী-১। মো. মনির হোসেন পিতা-মৃতঃ আঃ ছালেক ২। মো. শাহজাহান মিয়া পিতা-মৃতঃ মুনসুর আলী, সাং-৪নং ওয়ার্ড স্বরুপকাঠী পৌরসভা, ৩। মো. আবু জাফর পিতা-মৃতঃ বেলায়েত হোসেন উভয় সাং-জগন্নাথকাঠী ৮নং ওয়ার্ড স্বরুপকাঠী সদর ইউনিয়ন, থানা- নেছারাবাদ জেলা-পিরোজপুরগন ঘটনার প্রত্যক্ষ করেন।
বিবাদীরা এতই উত্তেজিত যে পরবর্তীতে উক্ত স্থানে ইজারা উত্তোলন করিতে গেলে আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গের সম্ভবনা রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে।

সাধারণ ডায়েরি করার পরপরই বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে উভয়পক্ষকে সতর্কীকরণ নোটিশ জারি করেছে নেছারাবাদ থানা। ২ অক্টোবর প্রেরিত নেছারাবাদ থানার সতর্কীকরণ নোটিশ নং- ০১/২৩ সূত্রে জানা যায়, কাঠমহলের ইজারা সংক্রান্ত শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কায় মো. আব্দুর রহিম বাদী হয়ে স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র গোলাম কবির ও মো. আউয়ালকে বিবাদী করে নেছারাবাদ থানা সাধারণ ডায়েরি করেন, যার নং – ৭৩। একই বিষয়ে ৭৩ নং সাধারণ ডায়েরির বাদীর বিরুদ্ধে বিবাদীরা সাধারণ ডায়েরি করেন, যার নং- ৭৪।

সতর্কীকরণ নোটিশে বলা হয়, উক্ত বিরোধীয় বিষয় নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে। বর্তমানে বিরোধী বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষ পরস্পর বিরোধী মুখোমুখি অবস্থান করায় শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকায় বিজ্ঞ আদালতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয় এরূপ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নেছারাবাদ থানার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।

বিরোধীয় বিষয়টি আদালতের সর্বশেষ আদেশ অনুযায়ী মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালতের বর্ণিত আদেশ মেনে চলার জন্য বলা হয়। কোন পক্ষ উক্ত নোটিশের ব্যত্যয় ঘটালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও ওই নোটিশ উল্লেখ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

স্বরূপকাঠীতে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি, উভয়পক্ষকে সতর্কীকরণ নোটিশ

আপডেট সময় : ১১:১৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীতে পৌর মেয়র গোলাম কবির ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আউয়ালের বিরুদ্ধে কাঠমহলের ইজারা নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে নেছারাবাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন একই উপজেলার স্বরূপকাঠী পৌরসভার বাসিন্দা মো. আবদুর রহিম।

ইজারাদার ও অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মেসার্স তিশা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর এ.কে আজাদ ও আদায়কারী এবং অংশীদার মো. আবদুর রহিম ও আরেক অংশীদার মো. নাসির উদ্দীন গত ২৮/০৮/২০২৩ইং তারিখ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পিরোজপুর হতে কাঠমহলের ইজারাপ্রাপ্ত হয়।

উক্ত ইজারা পাওয়ার পর থেকেই আবদুর রহিম ইজারা আদায় করে আসছিলেন। বিবাদীরা ইজারা আদায় করতে নিষেধ করেন। সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, ২ অক্টোবর সোমবার বেলা ১১.৪৫ ঘটিকার সময় অভিযোগকারী আবদুর রহিম স্বরূপকাঠী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে কাঠমহল হইতে ইজারা উত্তোলন করছিলেন।
তখন উক্ত বিবাদীদ্বয় ঘটনাস্থলে এসে বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তখন বাদী গালিগালাজ করিতে নিষেধ করলে বিবাদীদ্বয় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। উল্লেখ থাকে যে, অতীতেও কাউন্সিলরগণ তিশা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর এ.কে আজাদকে ইজারা আদায় করতে নিষেধ করেন এবং কাউন্সিলরগণ ৮ এবং ৩ দাগের ইজারা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দেন।

অতপর ইজারাদার এ.কে আজাদ উক্ত স্থানের কাঠব্যবসায়ীগণের সম্মুখে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছ থেকে বৈধভাবে ইজারা নিয়েছি। আপনাদের যদি কোন কথা থাকে আপনারা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে অভিযোগ করেন। উক্ত ইজারা সম্পত্তির মধ্যে যদি আপনাদের ৮ এবং ৩ দাগের সম্পত্তি হয়ে থাকে আপনারা সীমানা নির্ধারণ করে দেন। আমি ইজারাদার হয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করবো। তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, আমরা কোন বিবাদে যেতে চাইনা।

ইজারাদার এ.কে আজাদ আরো বলেন, পরবর্তীতে আমার ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা চলে যাওয়ার পরে আমার অনুপস্থিতিতে ১ম শ্রেণির পৌরসভার একজন মেয়র হয়ে আমার সাথে কোন আলাপ না করে আমার আদায়কারী অংশীদারকে লাঞ্চিত করেছে এটা দুঃখজনক।

সাধারণ ডায়েরি অনুসারে, আবদুর রহিমকে লাঞ্চিতের ঘটনায় তখন উপস্থিত সাক্ষী-১। মো. মনির হোসেন পিতা-মৃতঃ আঃ ছালেক ২। মো. শাহজাহান মিয়া পিতা-মৃতঃ মুনসুর আলী, সাং-৪নং ওয়ার্ড স্বরুপকাঠী পৌরসভা, ৩। মো. আবু জাফর পিতা-মৃতঃ বেলায়েত হোসেন উভয় সাং-জগন্নাথকাঠী ৮নং ওয়ার্ড স্বরুপকাঠী সদর ইউনিয়ন, থানা- নেছারাবাদ জেলা-পিরোজপুরগন ঘটনার প্রত্যক্ষ করেন।
বিবাদীরা এতই উত্তেজিত যে পরবর্তীতে উক্ত স্থানে ইজারা উত্তোলন করিতে গেলে আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গের সম্ভবনা রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে।

সাধারণ ডায়েরি করার পরপরই বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে উভয়পক্ষকে সতর্কীকরণ নোটিশ জারি করেছে নেছারাবাদ থানা। ২ অক্টোবর প্রেরিত নেছারাবাদ থানার সতর্কীকরণ নোটিশ নং- ০১/২৩ সূত্রে জানা যায়, কাঠমহলের ইজারা সংক্রান্ত শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কায় মো. আব্দুর রহিম বাদী হয়ে স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র গোলাম কবির ও মো. আউয়ালকে বিবাদী করে নেছারাবাদ থানা সাধারণ ডায়েরি করেন, যার নং – ৭৩। একই বিষয়ে ৭৩ নং সাধারণ ডায়েরির বাদীর বিরুদ্ধে বিবাদীরা সাধারণ ডায়েরি করেন, যার নং- ৭৪।

সতর্কীকরণ নোটিশে বলা হয়, উক্ত বিরোধীয় বিষয় নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে। বর্তমানে বিরোধী বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষ পরস্পর বিরোধী মুখোমুখি অবস্থান করায় শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকায় বিজ্ঞ আদালতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয় এরূপ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নেছারাবাদ থানার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।

বিরোধীয় বিষয়টি আদালতের সর্বশেষ আদেশ অনুযায়ী মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালতের বর্ণিত আদেশ মেনে চলার জন্য বলা হয়। কোন পক্ষ উক্ত নোটিশের ব্যত্যয় ঘটালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও ওই নোটিশ উল্লেখ করা হয়।