ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে বাচতে হত্যা মামলার বাদীর সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় : ০৫:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৪৪ বার পড়া হয়েছে
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা
ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে বাচতে হত্যা মামলার বাদীর সংবাদ সম্মেলন
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আসামী পক্ষের লোকজন নিজেদের কাউকে হত্যা করে মামলা দেয়ার পায়তারা করছে বলে আশংকা করছে মামলার বাদী কিরণ খা। দোষীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার। বুধবার সকালে কালকিনি প্রেসক্লাবে নিহত এসকেনদার খাঁ’র ছেলে কিরণ খাঁ লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য দেন। নিহত এসকেনদার কালকিনির ল²ীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য ও মাদারীপুর-০৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের সমর্থক ছিলেন । সে কালিকিনির ভাটোবালী গ্রামের হোসেন খাঁ’র ছেলে। তাছাড়া হত্যাকারীদের সাথে তার জমিজমা নিয়ে পূব শত্রæতাও ছিল বলে জানা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে কিরণ খাঁ অভিযোগ করেন, গত শনিবার ভোরে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বের হন এসকেনদারসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় মাদারীপুর-০৩ আসনের নৌকা প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়ার সমর্থক ও ল²ীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারীর নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় এসকেনদারকে এলোপাতারি কুপিয়ে আহত করে। পায়ের রক কর্তণও করা হয়। বাঁধা দিলে আরেকজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে দুইজনকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দুইজনকে পাঠানো হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এসেকনদার। এই ঘটনায় নিহত এসকেনদার খাঁ’র ছেলে কিরণ খাঁ বাদী হয়ে কালকিনি থানায় ৩১ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মঙ্গলবার ভোরে গাজীপুর থেকে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বিল্লাল খাঁকে গ্রেফতার করে জেলার গোয়েন্দা পুলিশ। জানা যায় হত্যাকারীদের সাথে নিহতের পরিবারের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। যা সমাধান করা হলেও তারা মনের ভিতর সেই ক্ষোভ পুষে রাখে।
এদিকে নিহতের পরিবারকে মামলার পরে আসামীদের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এ সময় নিহতের ছেলে আরো অভিযোগ করেন, আসামীদের মধ্যে নিজেরাই অপর একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়ে বাদীদের ফাঁসানোর পায়তারা চলছে। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে কিরণ খা বলেন, তার পিতাকে যারা হত্যা করেছে সেই খলিল খা গংরা তাদের দলেন কাউকে হত্যা করে তার স্বজন ও পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার পায়তারা করছে বলে শোনা যায়। তাই তিনি প্রশাসনের কাছে দাবি জানান যাতে দ্রæত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়। পাশাপাশি তারা যেন নতুন হত্যাকান্ড ঘটিয়ে তার পরিবার ও স্বজনদের আসামী করার সুযোগ না পায় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।