ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একসঙ্গে তিন শিশুর জন্ম হওয়ায় খুশিতে আত্মহারা স্বজনরা।  তেমনি কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।

মিঠুন পাল , (পটুয়াখালী থেকে।
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৭ বার পড়া হয়েছে
সময়কাল এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একে একে ফুটফুটে তিন পুত্রসন্তনের জন্ম দিয়েছেন আছিয়া বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূ। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে গলাচিপা নাঈমা কবির ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে স্বাভাবিক ডেলিভারির মাধ্যমে এই তিন পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। আছিয়া রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জেলে রাজিব হাওলাদারের স্ত্রী ও  একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড চিনাবুনিয়া গ্রামের কবির গাজীর মেয়ে।

ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা: নাঈমা কবির জানান তিন পুত্র সন্তান ও মা সুস্থ আছে।

স্বজন ও ক্লিনিক সূত্র জানা যায়, গত বুধবার রাত ৯ টা নাগাদ নদীবেষ্টিত প্রত্যান্ত চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন থেকে এনে গৃহবধূ আছিয়া কে গলাচিপা নাঈমা কবির ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকেকে ভর্তি করা হয়। রাত ২ টা নাগাদ প্রসববেদনা উঠলে ডা: নাঈমা কবির গৃহবধূকে পর্যবেক্ষণ করে নরমাল ডেলিভারি করার চেষ্টা করে। পরে রাত ৩টার দিকে তিনটি ফুটফুটে সন্তানের জন্ম হয় আছিয়া বেগমের।

এদিকে একসঙ্গে তিন শিশুর জন্ম হওয়ায় খুশিতে আত্মহারা স্বজনরা।  তেমনি কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। এমনকি ক্লিনিকের বিল মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান জেলে বাবা রাজিব হাওলাদার।  তিনি জানান, শিশু ও মায়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া প্রয়োজন। একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম হওয়ায় পরিবারের সবাই খুশি; তবে মা ও শিশুদের খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যয় বহন নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন বাবা রাজিব। তার স্বপ্ন সন্তানের বড় করে কুরআনে হাফেজ বানাবেন।

নবজাতক তিন পুত্র সন্তানের বাবা ও স্বজনরা  সন্তান তিনটিকে লালন-পালন করার সুবিধার্থে ও চিকিৎসার জন্য সরকারি-বেসরকারি সাহায্যে চেয়েছে।

নাঈমা কবির ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকের চিকিৎসক নাঈমা কবির জানান, তিন সন্তান জন্মের ঘটনাটি তার চিকিৎসক জীবনে প্রথম অভিজ্ঞতা। সন্তান প্রসবের পূর্বে চিকিৎসক,  নবজাতকদের মা, বাবা ও স্বজনরা জানতেন যমজ বাচ্চা হবে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এক একে তিনটি সন্তান স্বাভাবিক ভাবে জন্ম দেয় আছিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

একসঙ্গে তিন শিশুর জন্ম হওয়ায় খুশিতে আত্মহারা স্বজনরা।  তেমনি কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।

আপডেট সময় : ০৭:০৬:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

একে একে ফুটফুটে তিন পুত্রসন্তনের জন্ম দিয়েছেন আছিয়া বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূ। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে গলাচিপা নাঈমা কবির ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে স্বাভাবিক ডেলিভারির মাধ্যমে এই তিন পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। আছিয়া রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জেলে রাজিব হাওলাদারের স্ত্রী ও  একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড চিনাবুনিয়া গ্রামের কবির গাজীর মেয়ে।

ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা: নাঈমা কবির জানান তিন পুত্র সন্তান ও মা সুস্থ আছে।

স্বজন ও ক্লিনিক সূত্র জানা যায়, গত বুধবার রাত ৯ টা নাগাদ নদীবেষ্টিত প্রত্যান্ত চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন থেকে এনে গৃহবধূ আছিয়া কে গলাচিপা নাঈমা কবির ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকেকে ভর্তি করা হয়। রাত ২ টা নাগাদ প্রসববেদনা উঠলে ডা: নাঈমা কবির গৃহবধূকে পর্যবেক্ষণ করে নরমাল ডেলিভারি করার চেষ্টা করে। পরে রাত ৩টার দিকে তিনটি ফুটফুটে সন্তানের জন্ম হয় আছিয়া বেগমের।

এদিকে একসঙ্গে তিন শিশুর জন্ম হওয়ায় খুশিতে আত্মহারা স্বজনরা।  তেমনি কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। এমনকি ক্লিনিকের বিল মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান জেলে বাবা রাজিব হাওলাদার।  তিনি জানান, শিশু ও মায়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া প্রয়োজন। একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম হওয়ায় পরিবারের সবাই খুশি; তবে মা ও শিশুদের খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যয় বহন নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন বাবা রাজিব। তার স্বপ্ন সন্তানের বড় করে কুরআনে হাফেজ বানাবেন।

নবজাতক তিন পুত্র সন্তানের বাবা ও স্বজনরা  সন্তান তিনটিকে লালন-পালন করার সুবিধার্থে ও চিকিৎসার জন্য সরকারি-বেসরকারি সাহায্যে চেয়েছে।

নাঈমা কবির ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকের চিকিৎসক নাঈমা কবির জানান, তিন সন্তান জন্মের ঘটনাটি তার চিকিৎসক জীবনে প্রথম অভিজ্ঞতা। সন্তান প্রসবের পূর্বে চিকিৎসক,  নবজাতকদের মা, বাবা ও স্বজনরা জানতেন যমজ বাচ্চা হবে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এক একে তিনটি সন্তান স্বাভাবিক ভাবে জন্ম দেয় আছিয়া।