ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুশাক ছেঁড়া নিয়ে দু’পক্ষের মারামারি,আহত ১৮

ওসমান গনি মুন্সীগঞ্জ থেকে।
  • আপডেট সময় : ১০:০৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে
সময়কাল এর সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মুন্সীগঞ্জে কচুশাক ছেঁড়া নিয়ে দুই পক্ষের মারামারিতে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। সোমবার(৯ জানুয়ারি)জেলা সদরের চরমুক্তারপুরে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনা পরে রাজনৈতিক কোন্দলে রূপ নেয় বলে জানা গেছে।স্থানীয়রা জানান, ৮ জানুয়ারি শিশুদের কচুশাক ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে শাকিল ও আহসানউল্লাহ পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়।এতে আহসানউল্লাহ গ্রুপের আহসান উল্লাহ (৫০),তার স্ত্রী জিয়াসমিন(৪৫),ছেলে সাকিব(২৫) ছাড়াও আহত হয়েছের পিংকি(২৫),কল্পনা আক্তার (২০),নুর বানু(৬০),জান্নাত(৩),আমানউল্লাহ(৬০), ইসমাইল(২৮),নিহাত (২৪) ও নিশাত(২০)।হোসনারা(৪০),আহতদের মধ্য আহসান উল্লাহ ও তার স্ত্রী জিয়াসমিন বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এছাড়াও শাকিল গ্রুপের পক্ষে আহত হন শাকিল(২৭),রিয়া(২৫),ইকরাম(১৪),ইমু(১৭),
হোসনেয়ারা(৪০)।সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, শাকিল ও আহসানউল্লাহ দুই পক্ষই নৌকার সর্মথন করেন।তবে তুচ্ছ কচুরশাক নিয়ে মারামারির পরপরই বিষয়টিকে নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র কাঁচি ও পরাজিত নৌকা সর্মথক টেনে এনে এলাকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চালাচ্ছে শাকিল পক্ষ।তারা নিজেদের স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের সর্মথক বলে দাবি করেন।তবে স্থানীয়রা বলছেন,দুই পক্ষই নৌকার সর্মথকরা মারামারি পর দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে।স্থানীয়রা জানান,এ ঘটনায় চরমুক্তারপুর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে তারা জানান। ইতোমধ্যে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন র্যা বের একটি টিম।মারামারিতে আহত আহসান উল্লাহ বলেন,শিশুরা কচুরশাক ছিঁড়ে ফেলেছে।সেই তুচ্ছ বিষয়টি নিয়ে শাকিল পক্ষের লোকজন আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে মারধর করেছে।এ সময় তারা লুটপাটও চালায়।এখন নৌকা পরাজিত হওয়ায় বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লোটার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে কচুরশাক নিয়ে মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করে নিজেদের জয়ী স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের সর্মথক দাবি করে শাকিল বলেন,আমরা কাঁচির সর্মথন করায় আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে আহসানউল্লাহর লোকজন।এ সময় আমাদের বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো:আমিনুল ইসলাম জানান,চরমুক্তারপুরের ঘটনায় তদন্তের জন্য মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি)বিকালে ফোর্স পাঠানো হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কচুশাক ছেঁড়া নিয়ে দু’পক্ষের মারামারি,আহত ১৮

আপডেট সময় : ১০:০৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

মুন্সীগঞ্জে কচুশাক ছেঁড়া নিয়ে দুই পক্ষের মারামারিতে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। সোমবার(৯ জানুয়ারি)জেলা সদরের চরমুক্তারপুরে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনা পরে রাজনৈতিক কোন্দলে রূপ নেয় বলে জানা গেছে।স্থানীয়রা জানান, ৮ জানুয়ারি শিশুদের কচুশাক ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে শাকিল ও আহসানউল্লাহ পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়।এতে আহসানউল্লাহ গ্রুপের আহসান উল্লাহ (৫০),তার স্ত্রী জিয়াসমিন(৪৫),ছেলে সাকিব(২৫) ছাড়াও আহত হয়েছের পিংকি(২৫),কল্পনা আক্তার (২০),নুর বানু(৬০),জান্নাত(৩),আমানউল্লাহ(৬০), ইসমাইল(২৮),নিহাত (২৪) ও নিশাত(২০)।হোসনারা(৪০),আহতদের মধ্য আহসান উল্লাহ ও তার স্ত্রী জিয়াসমিন বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এছাড়াও শাকিল গ্রুপের পক্ষে আহত হন শাকিল(২৭),রিয়া(২৫),ইকরাম(১৪),ইমু(১৭),
হোসনেয়ারা(৪০)।সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, শাকিল ও আহসানউল্লাহ দুই পক্ষই নৌকার সর্মথন করেন।তবে তুচ্ছ কচুরশাক নিয়ে মারামারির পরপরই বিষয়টিকে নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র কাঁচি ও পরাজিত নৌকা সর্মথক টেনে এনে এলাকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চালাচ্ছে শাকিল পক্ষ।তারা নিজেদের স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের সর্মথক বলে দাবি করেন।তবে স্থানীয়রা বলছেন,দুই পক্ষই নৌকার সর্মথকরা মারামারি পর দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে।স্থানীয়রা জানান,এ ঘটনায় চরমুক্তারপুর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে তারা জানান। ইতোমধ্যে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন র্যা বের একটি টিম।মারামারিতে আহত আহসান উল্লাহ বলেন,শিশুরা কচুরশাক ছিঁড়ে ফেলেছে।সেই তুচ্ছ বিষয়টি নিয়ে শাকিল পক্ষের লোকজন আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে মারধর করেছে।এ সময় তারা লুটপাটও চালায়।এখন নৌকা পরাজিত হওয়ায় বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লোটার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে কচুরশাক নিয়ে মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করে নিজেদের জয়ী স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের সর্মথক দাবি করে শাকিল বলেন,আমরা কাঁচির সর্মথন করায় আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে আহসানউল্লাহর লোকজন।এ সময় আমাদের বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো:আমিনুল ইসলাম জানান,চরমুক্তারপুরের ঘটনায় তদন্তের জন্য মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি)বিকালে ফোর্স পাঠানো হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।